দুর্গাপুর, 24 অগাস্ট : দুর্গাপুর মহকুমায় দুটি বিধানসভা আসনে দলীয় প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়, লোকসভা নির্বাচনে BJP প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার বিপুল ভোট পাওয়ার ময়নাতদন্তে দুর্গাপুর আসেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম । তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক । শিল্পশহরে এসে হারের ময়নাতদন্ত করতে বৈঠকে বসেন ফিরহাদ । শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণই যে হারের অন্যতম কারণ, তা বৈঠকে উঠে আসে । কারখানায় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগে সমস্যার জেরেই শিল্পাঞ্চলে শাসকদল জমি হারিয়েছে বলে দাবি করেন বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সিংহভাগ । যদিও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বৈঠকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাননি । তবে শিল্পশহরে শ্রমিক সংগঠনের সমস্যা মেটাতে INTTUC-র জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, INTTUC-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মেটাবেন বলে জানান ।
গত বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই আসনে শাসকদলের প্রার্থীদের পরাজয়ের পর বর্ধমান জেলা তৃণমূলের তৎকালীন পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস দুর্গাপুরে INTTUC-র কমিটিগুলি ভেঙে দেন । পরে দুর্গাপুরে পশ্চিম কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ফের তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করলে তাঁকে INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি করা হয় । কিন্তু প্রাক্তন সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানায় ঠিকা শ্রমিক সংগঠনে দাপট ধরে রাখার কারণে সেগুলিতে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ইউনিট কমিটি গঠন করেও ক্ষমতা পাননি । তখন থেকেই শুরু হয় বিশ্বনাথ বনাম প্রভাত গোষ্ঠীর লড়াই । মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি । রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রভাত চট্টোপাধ্যায় তাঁর আধিপত্য ও দক্ষতার প্রমাণ বারবার দেওয়ার পর দল তাঁকে গুরুত্ব দিতে থাকে । বিশ্বনাথ পাড়িয়াল নিজেকে গুটিয়ে নেন ।