দুর্গাপুর, 1 নভেম্বর : শনিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের 31 নম্বর লকগেট ভেঙে যায় । প্রায় জলশূন্য এই মুহূর্তে দুর্গাপুর ব্যারেজ । রবিবার সকালে দুর্গাপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণের জন্য পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হয় । কিন্তু তা যথেষ্ট নয় শিল্পাঞ্চলের মানুষের জন্য । এই অবস্থায় জলের চাহিদা মেটাতে সকাল থেকে লম্বা লাইন বোতলবন্দী জলের দোকানগুলিতে ৷
এর আগে 2017 সালের নভেম্বর মাসে দুর্গাপুর ব্যারেজের 1 নম্বর গেট ভেঙে যায় । সেই সময় চারদিন দুর্গাপুরে প্রবল জল কষ্ট দেখা দিয়েছিল । প্যাকেজ পানীয় জলের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছিল । অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চড়া দামে গ্যালন ভরতি জল বিক্রির একের পর এক অভিযোগ এসেছিল ৷ অভিযোগ উঠেছিল, এক বোতল জলের দাম তিন থেকে চার গুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে ৷
রবিবার দুর্গাপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সামান্য সময়ের জন্য পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হয় ৷ সেটা অবশ্য দুর্গাপুরবাসীর জন্য যথেষ্ট নয় । স্বাভাবিকভাবেই আবার সেই প্যাকেজ পানীয় জল বিক্রেতাদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন দিতে বাধ্য হয় স্থানীয়রা । তবে রবিবার স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হয়েছে গ্যালনবন্দী জল । কিন্তু ক্রেতাদের আশঙ্কা আগামীকাল থেকে জলকষ্ট আরও তীব্র হবে ৷ ফের অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দামে বিক্রি করবে গ্যালনবন্দী জল ।