মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাননি বাম বিধায়করা, উঠছে প্রশ্ন

দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিম বর্ধমান জেলার CPI(M)-এর তিন বিধায়ক । জামুড়িয়ার বিধায়ক জাহানারা খান, রানিগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত এবং দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষদেব রায় ৷ জেলা CPI(M) নেতৃত্বের দাবি, বিধায়কদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে ওই তিন বিধানসভার মানুষকে কার্যত বঞ্চিত করা হয়েছে ৷

দুর্গাপুর, 14 ফেব্রুয়ারি : ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ এনিয়ে যখন বিতর্ক বেধেছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে পালটা বিতর্ক দানা বাধল ৷ পশ্চিম বর্ধমান জেলার CPI(M) নেতৃত্বের অভিযোগ, জেলায় তাঁদের তিনজন বিধায়ক রয়েছেন ৷ কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁদের কাউকেই ডাকা হয়নি ৷

গতকাল দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ছিল । তাতে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা ছাড়াও জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক, বিধায়ক, মেয়র, জেলা সভাধিপতি, কাউন্সিলর ও অন্য জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন । ছিলেন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা, বিশিষ্টজন এবং ছাত্রছাত্রীরাও । অভিযোগ, অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়করা থাকলেও আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিম বর্ধমান জেলার CPI(M)-এর তিন বিধায়ক । জামুড়িয়ার বিধায়ক জাহানারা খান, রানিগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত এবং দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষদেব রায় ৷ জেলা CPI(M) নেতৃত্বের বক্তব্য, বিধায়কদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে ওই তিন বিধানসভার মানুষকে কার্যত বঞ্চিত করা হয়েছে ৷

CPI(M)-এর জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের জেলায় তিনজন বিধায়ক রয়েছেন ৷ আরও একজন আমাদের সমর্থনে জিতেছিলেন ৷ পরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ৷ ফলে আমাদের আপাতত তিনজন বিধায়ক রয়েছেন ৷ প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁদের না ডাকার অর্থ হল তৃণমূল দলভিত্তিক উন্নয়নে বিশ্বাস করে ৷ যে কোনও বিধায়কের দায়বদ্ধতা আছে জনগণের কাছে । বিধায়কদের তহবিল আছে ৷ তাঁদের কিছু বক্তব্য থাকতে পারে প্রশাসনের কাছে ৷ স্বভাবতই উন্নয়ন সংক্রান্ত বা অন্য দাবিদাওয়া প্রশাসনের কাছে জানানোর অধিকার আছে বিধায়কের । প্রশাসন যেহেতু দলভিত্তিক এবং দলদাসে পরিণত হয়েছে, সেক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা শোনার ভয় থেকেই তাঁদের ডাকা হচ্ছে না ৷ "

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য জেলা প্রশাসনের কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন ।