দুর্গাপুর, 5 ফেব্রুয়ারি: কয়লা পাচারকাণ্ডে এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর সঙ্গে সমান্তরাল তদন্ত চালাতে আসরে নামল রাজ্যের সিআইডি। সিআইডি হানা দিল রাষ্ট্রায়ত্ত ইসিএলের অন্ডালের কাজোড়া এরিয়া অফিসে। সিআইডি ডিআইজি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে পনেরো থেকে কুড়ি জনের দল ইসিএল কাজোড়া এরিয়া অফিসে হানা দেন। বিভিন্ন জায়গায় যাবে তারা।
কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালা পলাতক। রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রকে কয়লাকাণ্ডে সিবিআই সমন দিয়েছে। গোরু পাচার ও কয়লাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই যখন রাজ্যের শাসকদলকে চাপে রেখেছে, তখন কয়লা মাফিয়া রাজেশ ঝাঁ ওরফে রাজু ঝাঁ-রা সরাসরি বিজেপির পতাকা ধরেছেন। তাঁরা এখন পদ্ম শিবিরের নেতা। গেরুয়া শিবিরকে পালটা চাপে রাখতে সিআইডি তদন্তে কি এ বার তাঁদের নাম আসবে? সিআইডির তদন্তে কি উঠে আসবে একসময়ে কয়লাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো দাপুটে প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের নামও? যিনি বর্তমানে রাজু ঝাঁকে সঙ্গী করে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। বাঁকুড়ার এক কয়লা কারবারিও বিজেপিতে সদ্য যোগ দিয়েছেন। তাঁকেও কি এ বার সিআইডি জেরার মুখে পড়তে হবে? সবমিলিয়ে ভোটের আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কয়লার কালো কারবারকে কেন্দ্র করেই যে রাজনৈতিক লড়াই জমজমাট, তা কিন্তু আলাদা করে সিবিআই ও সিআইডি তদন্তে জলের মত পরিষ্কার হয়ে উঠল।