দুর্গাপুর , 6 জুন: রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে পঙ্গপালের হানার তত্ত্বকে উড়িয়ে দিলেও আজ একটি পঙ্গপালের দলের দেখা মেলে পাণ্ডবেশ্বরে। এলাকার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, " অবিলম্বে আমি BDO-র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি ।"
একদিকে কোরোনা আতঙ্ক । তার উপর নতুন করে পঙ্গপালের উদ্ভব হয়েছে রাজ্যে । সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শালবনে দেখা গিয়েছিল এক ঝাঁক পতঙ্গ। স্থানীয়রা পঙ্গপাল বলে দাবি করলেও কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয় ওগুলি আসলে এক ধরনের গঙ্গাফড়িং। এরপরই শনিবার পাণ্ডবেশ্বরেও দেখা গেল একদল পঙ্গপাল । স্থানীয় দুই যুবক একদল পঙ্গপালকে একটি গাছের সমস্ত পাতা খেয়ে নেওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করে। এরপরই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বরে দু'জন কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। খনি অঞ্চলের বাসিন্দারা এরপর থেকেই যথেষ্ট আতঙ্কে ভুগছেন । তার উপর নতুন করে এলাকায় পঙ্গপালের দেখা মেলায় আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এলাকার বাসিন্দা শেখ জুলফিকার জানান, "কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের দু'জন । এই কথা জানার পর এমনিতেই আমরা আতঙ্কে রয়েছি । তারপর আজ হঠাৎ দেখলাম গাছের পাতাগুলো খেয়ে ফেলেছে একদল পঙ্গপাল । প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, কারণ আমাদের এলাকায় বহু কৃষিজীবী মানুষ রয়েছেন । এই পঙ্গপাল কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে দিতে পারে ।"
পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এই বিষয়ে জানালে তিনি বলেন ,""আমি অবিলম্বে BDO-র সঙ্গে কথা বলছি । এই বিষয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে । তবে কৃষিজীবীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। "