নানুর, ৭ মার্চ : যুবতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর শওহরের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম লালবানু খাতুন (২৫)। ঘটনাটি বীরভূমের নানুরের। গতকাল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ওই যুবতির মৃত্যু হয়। মৃতের আব্বার বাড়ির তরফে নানুর থানায় তাঁর শাশুড়ি, দুই ননদ ও দুই দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃত লালবানু খাতুনের আব্বার বাড়ি বীরভূমের বোলপুরের গোবিন্দপুরে। আর শওহরের বাড়ি বীরভূমের নানুরে। মৃতের শওহর বিল্লাল খাদিম শেখ কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে থাকেন। খাদিমরা তিন ভাই। তাঁদের একটা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজের জন্য বিল্লাল খাদিমের কাছে তাঁর অন্য দুই ভাই ২৫ হাজার টাকা চান। কিন্তু, বিল্লাল সেই দাবি মেটাতে পারেনি।
অভিযোগ, এরপরই তাঁর বিবি লালবানুকে শওহরের বাড়ির লোকজন আব্বার বাড়ি থেকে সেই টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। খাদিম ফিরলে ভাইদের চাহিদামতো টাকা দেবেন বলেও জানান লালবানু। কিন্তু, সেই কথা শুনে অত্যাচার শুরু হয়। তিনদিন না খেতে দিয়ে মারধরও করা হয়। শেষপর্যন্ত গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় লালবানুকে বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল ভরতি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গতকাল সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের দাদা ইয়াসিন শেখ বলেন, "আমার বোন লালবানুকে ২৫ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ও সেই টাকা দিতে পারেনি। তাই ওর শাশুড়ি, ননদ ও দুই দেওর মিলে মারধর করতে শুরু করে। শেষে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। খাদিম এবিষয়ে কিছুই জানত না। আমাদের কাছে খবর পেয়ে ও ফিরেছে। আমরা নানুর থানায় ওর শাশুড়ি সুরিয়া বিবি, দুই ননদ বুচকি খাতুন ও পারুল খাতুন, দুই দেওর এবং মামাশ্বশুর বাবু খাদিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। দোষীদের শাস্তি চাই।"