কলকাতা, 12 জুন: প্রাক প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে কুৎসিত বোঝাতে কৃষ্ণাঙ্গের ছবি ব্যবহার করায় বর্ধমান মিউনিসিপাল গার্লস হাইস্কুলের দুই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ সঙ্গে বলেন, বইটি সরকারি নয় । এই ঘটনায় তাঁরা স্তম্ভিত। অন্য কোনও স্কুলে ওই বইটি ব্যবহার করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "শিক্ষা দপ্তরের নজরে এটা এসেছে । দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, বর্ধমান মিউনিসিপাল গার্লস স্কুলের যে বইয়ের কথা উঠে এসেছে সেটি মোটেই সরকারি নয় । সরকার এই বই অনুমোদন করেনি । সরকারি ছাপাখানায় এটি ছাপেনি । আমাদের প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিকের দু'টি সরকারি বই থাকে । স্থানীয় স্তরে আগ্রহ দেখিয়ে বইটিকে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহার করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ । আমি ওখানকার জেলা পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি । আমরা স্তম্ভিত । আমাদের রাজ্যে এই ধরনের বই যাঁরা প্রকাশ করছেন তাঁদের সঙ্গে আমরা সহমত নই । আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি এবং এই ধরনের বই যদি কোনও স্কুল আমাদের অজ্ঞাতসারে ব্যবহার করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।"
এই বইটিকে প্রাক প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বর্ধমান মিউনিসিপাল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক ও বর্ণালী দাস নামে এক সহকারী শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "চাইল্ড স্টাডি নামের এই বইটি রাজ্যের কোথাও পাঠ্যপুস্তক বলে গণ্য করা হবে না ৷ কেউ করবেন না। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা দপ্তর থেকে আজই আমরা বের করে দিচ্ছি ।" যে প্রকাশক এই বইটি প্রকাশ করেছে এবং যিনি লিখেছেন, তারা অন্যায় করেছে বলেও মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সরকার এই বই অনুমোদন করেনি, বর্ধমানের ঘটনায় বললেন শিক্ষামন্ত্রী - partha chatterjee
বর্ধমান মিউনিসিপাল গার্লস স্কুলের প্রাক প্রাথমিকে একটি ইংরাজি বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল ৷ সেখানে U ফর Ugly লেখার পাশে কৃষ্ণাঙ্গের ছবি দেওয়া ছিল । যা নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করল শিক্ষা দপ্তর ৷
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ঠিক কী হয়েছে ? বর্ধমান মিউনিসিপাল গার্লস স্কুলের প্রাক প্রাথমিকে একটি ইংরাজি বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল ৷ সেখানে U ফর Ugly লেখার পাশে কৃষ্ণাঙ্গের ছবি দেওয়া ছিল । যা সুদীপ মজুমদার নামে এক ছাত্রীর বাবার নজরে আসে ৷ তিনিই প্রথম বিষয়টি জেলা পরিদর্শকের নজরে আনেন ৷ আর তারপরই কড়া পদক্ষেপ করল শিক্ষা দপ্তর ৷