বর্ধমান, 20 অগস্ট: "শুভেন্দু অধিকারী রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাননি ৷ কোনও ব্যবসায়ী যদি ব্যবসা করে নির্দিষ্ট সময় পর ধনী হন, তাহলে কারও কিছু বলার থাকে না ৷ আমরাও বলি না ৷" রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই একথা বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ৷ শনিবার একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বর্ধমান আসেন তিনি ৷ সেই অনুষ্ঠানের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত ৷ গরুপাচার কাণ্ডে (West Bengal Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়া-সহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি ৷
সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই সুকান্ত মজুমদারের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পদ বৃদ্ধি (Disproportionate Assets Controversy) নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ৷ জবাবে সুকান্ত বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি রাতারাতি বেড়ে যায়নি ৷ তিনি ব্যবসায়ী মানুষ ৷ ব্যবসা যত বেড়েছে, তাঁর সম্পদও বেড়েছে ৷ তাছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট পরিমাণে পৈতৃক সম্পত্তিও আছে ৷
আরও পড়ুন:Firhad Hakim on Anubrata Asset বেনামি সম্পত্তি নেই অনুব্রতর, কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে ধৃত সুদীপ্ত সেন বহুবার অভিযোগ করেছেন, নানা আজুহাতে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা আদায় করেছেন শুভেন্দু ৷ এমনকী, নারদা কাণ্ডে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় শুভেন্দুকে বেআইনিভাবে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলেও নানা মহলে দাবি করা হয় ৷ সুকান্তকে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলে তিনি সরাসরি কোনও উত্তর দেননি ৷ তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দুর সম্পত্তি কীভাবে বেড়েছে, তার উত্তর একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই দিতে পারবেন ৷ তবে, শুভেন্দু আর অনুব্রত তাঁদের কাছে যে সমান নন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত ৷
একইসঙ্গে, সুকান্ত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা বা মন্ত্রীরা নন, গরুপাচার কাণ্ডে যাঁদের বিরুদ্ধেই দোষ প্রমাণ হবে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে ৷ এই পাচারে বিএসএফ-এর কোনও জওয়ান বা আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷