রানিগঞ্জ, 26 নভেম্বর: অবহেলায় একেবারে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পুরস্কারপ্রাপ্ত রানিগঞ্জের অগ্নিবীণা ইকো পার্ক ৷ নষ্ট হচ্ছে গ্রিন প্রজেক্টের বহু মূল্যবান গাছ ৷ 2018 সালে অগ্নিবীণা ইকো পার্ক উদ্বোধন হয়েছিল । পার্কটি বন্ধের জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে ৷
রানিগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েত এলাকার অগ্নিবীণা ইকো পার্কে । ঘটা করে ইকো পার্ক উদ্বোধন হয়েছিল এক বছর আগে ৷ জেমেরি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে গড়ে ওঠে রানিগঞ্জের এই ইকো পার্কটি । ইকো পার্কের সৌন্দর্যের জন্য পুরস্কার পায় বর্ধমান জেলার "সেরা পার্ক" হিসেবে । অগ্নিবীণা ইকো পার্কে রয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো । এছাড়াও পার্কের মধ্যে বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য দোলনা থেকে শুরু করে স্লিপারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল । এমন কী ইকো পার্কে তৈরি করা হয় গ্রিন প্রজেক্ট । এই প্রজেক্টের মাধ্যমে চারাগাছ তৈরি করা হত । জেমেরি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দিয়ে 100 দিনের কাজ করানো হত এই অগ্নিবীণা ইকো পার্কে । পার্কের মধ্যে বহু মূল্যবান গাছসহ নানা রকম ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল । কিন্তু তা পরিচর্যার ও জলের অভাবে বহু গাছ নষ্ট হচ্ছে ।
1999 সালে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ECL-র পরিত্যক্ত 18 বিঘা জমিতে প্রথমে ফলের বাগান তৈরি করা হয় । আম , লেবু , পেয়ারা, জাম গাছসহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হয় । পরে 2015 সালে ওই বাগানটিকে ইকো পার্ক তৈরি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । 2016 সালে সেখানে নার্সারি তৈরি করা হয় । এরপর একের পর এক বহুমূল্যবান গাছ লাগিয়ে বিশাল আকারের বাগান নির্মিত হয় । 2018 সালে ঘটা করে তা উদ্বোধন করা হয় । কিন্তু এক বছরের মধ্যেই নষ্ট হতে থাকে এই ইকো পার্কের সেই সৌন্দর্য ।
অগ্নিবীণা ইকো পার্কের দায়িত্বে থাকা কর্মী অজিত মাহাত বলেন "এপ্রিল থেকেই পার্কের মেনটেনেন্সের কাজ বন্ধ রয়েছে । ফলে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় ইকো পার্ক । লোকজন না থাকার ফলে বেহাল অবস্থা পার্কের । পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হচ্ছে গোলাপ ফুলের বাগান । জলের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বহু মূল্যবান গাছ । পার্কের মধ্যে গ্রীন হাউস প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছিল । গ্রিন হাউসে সবজি চাষ, নার্সারি চারা তৈরি, গোলাপের স্পলিন, জবাফুলের স্পলিন তৈরি করা হতো । গ্রীন হাউসের তৈরি চার থেকে পাঁচ হাজার জবা ফুলের চারা গাছ নষ্ট হচ্ছে সঙ্গে ড্রাগন চারাও নষ্ট হচ্ছে । এখনো খুব বেশি নষ্ট হয়নি, যদি প্রশাসন নজর দেয় তাহলে আবার ফিরবে ইকো পার্কের সৌন্দর্য । অনেক ফলেরও গাছ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হচ্ছে ।
রানীগঞ্জের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান " জেমেরি পঞ্চায়েতের বেলিয়া বাথান পার্ক যখন আমরা করেছিলাম তখন অনেক বেশি ফান্ড এসেছিল । কিন্তু এখন ফান্ড বন্ধ হয়ে গেছে । আমরা চেষ্টা করছি অন্যান্য ফান্ডের থেকে টাকা ব্যবহার করে পার্কে কাজে লাগিয়ে সৌন্দর্য ফেরানোর ব্যবস্থা । খুব শিগগিরই সৌন্দর্য ফিরবে পার্কে ।"