আসানসোল, 3 নভেম্বর : লাঠিতে করে ঘোরানো চাকা ঘুরছে শনশন শব্দে । তার ওপরে আঙুলের খেলায় তৈরি হয়ে উঠছে মাটির প্রদীপ । চিত্র বদলে গিয়েছে । চাকা ঘুরছে, প্রদীপও তৈরি হচ্ছে । তবে এখন আর কুমোরপাড়ায় লাঠি দিয়ে চাকা ঘোরানো হয় না । পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে মাটির তাল বসিয়ে গড়ে উঠছে মাটির প্রদীপ, সরা কত কি...। আসানসোলের কেডি সিম এলাকায় কুমোরপাড়ায় এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা । উৎসাহ-উদ্দীপনায় কুমোরপাড়ায় এখন প্রদীপ গড়ার কাজ চলছে । কারণ করোনা পরিস্থিতিতে চিনা সামগ্রী নিষিদ্ধ হয়েছে দেশে । সেই সুযোগেই আশার আলো দেখছেন কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা ।
আসানসোল পৌরনিগমের 15 নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কেডি সিম এলাকা । বহু বছর আগে ভিনরাজ্য থেকে এখানে উঠে এসেছিল বেশ কয়েকটি কুমোর পরিবার । এঁদের প্রত্যেকেরই পদবি পণ্ডিত । এই পণ্ডিত বংশের লোকেরা বংশানুক্রমে প্রদীপ-সহ নানা মাটির জিনিস বানিয়ে আসছেন । কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মাটির জিনিসের বিক্রি কমে আসছিল । যে দীপাবলিতে প্রদীপ বিক্রি করে একসময় ভাল উপার্জন করতেন মৃৎশিল্পীরা, সেখান থেকে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে প্রদীপ বিক্রির হাল । কারণ বাজারে তখন আগ্রাসী কম দামি চিনা আলো । মধ্যবিত্তরা ঐতিহ্য ভুলে এই কম দামি আলো কিনেই দীপাবলি সাজাতেন । বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল প্রদীপের বিক্রি । পণ্ডিতপাড়ায় এই প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা পেশা বদলের কথা ভাবছিলেন । থেমে যাচ্ছিল হাতে ঘোরাানো চাকা ।