আসানসোল, 28 জুলাই : আসানসোল রেলপারে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ওই যুবকের বাড়ি যান আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি । আজ সকালে যান মন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির পাশাপাশি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ৷ এদিকে, আজ সকালে সেখানে যায় BJP-র প্রতিনিধি দল ৷ ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর আশা শর্মা, ভৃগু ঠাকুরসহ অন্যরা ৷ তাঁরাও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন ৷
চলতি মাসের 23 তারিখ আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত শিবলাল ডাঙার কাছে রেলপারে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন । স্থানীয়রা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় আসানসোল উত্তর থানায় ৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ ৷ কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়াই সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ অন্যদিকে সেদিনই সুরজ বাহাদুর নামে এক যুবকের পরিবার আসানসোল উত্তর থানায় একটি মিসিং ডায়রি করে ৷ পরে মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকই সুরজ ৷ এরপর 24 তারিখ বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে সুরজের মৃতদেহ সরাসরি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরিবারের উপস্থিতিতে সৎকার হয় ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন পুলিশ আসানসোল থেকে মৃতদেহ তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠাল ? কেনই বা বাড়িতে না নিয়ে হাসপাতাল থেকে সরাসরি শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল? যদিও এবিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ৷ পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে খুন করা হয়েছে সুরজ বাহাদুরকে ।