পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

আসানসোলে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে

গতকাল সন্ধ্যায় সুরজ বাহাদুরের বাড়ি যান আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির পাশাপাশি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ৷ আজ সকালে গেছিল BJP-র একটি প্রতিনিধি দল ৷ ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর আশা শর্মা, ভৃগু ঠাকুর সহ অন্যান্যরা ৷ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন ৷ গেছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকও ৷ পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন ৷

By

Published : Jul 28, 2019, 8:06 PM IST

মলয় ঘটক ও আশা শর্মা

আসানসোল, 28 জুলাই : আসানসোল রেলপারে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ওই যুবকের বাড়ি যান আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি । আজ সকালে যান মন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির পাশাপাশি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ৷ এদিকে, আজ সকালে সেখানে যায় BJP-র প্রতিনিধি দল ৷ ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর আশা শর্মা, ভৃগু ঠাকুরসহ অন্যরা ৷ তাঁরাও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন ৷

চলতি মাসের 23 তারিখ আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত শিবলাল ডাঙার কাছে রেলপারে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন । স্থানীয়রা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় আসানসোল উত্তর থানায় ৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ ৷ কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়াই সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ অন্যদিকে সেদিনই সুরজ বাহাদুর নামে এক যুবকের পরিবার আসানসোল উত্তর থানায় একটি মিসিং ডায়রি করে ৷ পরে মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকই সুরজ ৷ এরপর 24 তারিখ বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে সুরজের মৃতদেহ সরাসরি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরিবারের উপস্থিতিতে সৎকার হয় ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন পুলিশ আসানসোল থেকে মৃতদেহ তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠাল ? কেনই বা বাড়িতে না নিয়ে হাসপাতাল থেকে সরাসরি শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল? যদিও এবিষয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ৷ পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে খুন করা হয়েছে সুরজ বাহাদুরকে ।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের 22 তারিখ এক ফেরিওয়ালাকে হিরাপুরের কালাঝরিয়া এলাকায় স্থানীয় চার যুবক "জয়শ্রীরাম" বলতে বলে । তিনি "জয়শ্রীরাম" না বলায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় । পরে অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ গেলে, তাদের উপরও হামলা চালানো হয় । তারপর থেকেই আসানসোলের হিরাপুর থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয় ৷ গুজবের জেরে যে কোনও রকম অশান্তি রুখতে 30 জুলাই পর্যন্ত আসানসোল শিল্পাঞ্চলজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ কমিশনার ৷ অন্যদিকে 23 জুলাই সুরজের মৃত্যুর পরও আসানসোল রেলপারের বেশ কিছু অঞ্চলে অশান্তির সূত্রপাত হয় ৷

সুরজ পেশায় রাঁধুনি ছিলেন ৷ তাঁর রোজগারের টাকাতেই সংসার চলত । বাড়িতে মা-সহ তিন বোন রয়েছেন । সুরজের খুনের প্রতিবাদে আজ দুপুরে আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করা হয় BJP-র পক্ষ থেকে । ছিলেন BJP-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই সহ শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য নেতারা । কাউন্সিলর আশা শর্মা বলেন, "দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ আমরা থানা ঘেরাও করেছিলাম ৷ পরিবারের পাশে আছি ৷ যতদিন না দোষীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে আমরা এইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ "

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details