আসানসোল, 4 মে : অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো দূরের কথা ৷ আজ থেকে পাঁচ-ছ’বছর আগে তাঁদের কারও হাতে সাধারণ মোবাইলটাও ছিল না ৷ তবু মনের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছে ছিল ছবি তোলার ৷ লকডাউনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল দেওয়া হয়েছিল অনলাইন পড়াশোনার জন্য ৷ আর সেই ফোনেই শখের ছবি তোলা শুরু করেছিলেন আসানসোলের হিরাপুর হারামডি গ্রামের বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবতী ৷ সেই শখই আজ তাঁদের কিছুটা হলেও পেশাদার ফটোগ্রাফার তৈরি করেছে ৷ ছবি তোলা শিখে রীতিমতো প্রদর্শনীতে তাঁদের ছবি জায়গা করে নিয়েছে (Photography Exhibition Which was Captured by Tribal Girls of Asansol) ৷
সম্প্রতি আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি চিত্র প্রদর্শনীতে শহরের বিশিষ্ট ফটোগ্রাফারের ছবির সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে আদিবাসী যুবতীদের মোবাইলে তোলা ছবিও ৷ একদিকে গ্রামের নিকোনো ঘর, অন্যদিকে ধান চাষের জমি ৷ গ্রামে এখন পাকা রাস্তা হলেও খড় বোঝাই গরুর গাড়ি চোখে পড়বেই ৷ পাশাপাশি প্রাকৃতিক দৃশ্যে এখনও পর্যন্ত বাংলার গ্রাম সুন্দর ৷ আর এমন প্রকৃতির মাঝে থাকতে থাকতে হিরাপুরের হারামডি গ্রামের আদিবাসী যুবতীরা ভেবেছিলেন এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি যদি তুলে রাখা যায় ৷
কিন্তু, বছর দু’য়েক আগেও সেই উপায় ছিল না ৷ কারণ ক্যামেরা দূরের কথা, কারও হাতে মোবাইল ফোনই ছিল না ৷ পরবর্তীকালে সরকারি উদ্যোগে কিংবা পরিবার থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দেওয়ায় সেই শখ পূরণ হতে শুরু করে ৷ কিন্তু, ছবি তুললেও অন্যের ছবির পাশে নিজেদের তোলা ছবিকে ফিকে মনে হত ৷ তখনই তাঁরা ঠিক করেন ছবি তোলা শিখবেন ৷