আসানসোল, 8 অক্টোবর : আমরা দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হব ৷ শারদ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠব ৷ অথচ সেই দুর্গারই রূপ মহিলারা যখন পুজোয় অংশ নেবেন, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ রে রে করে উঠবে ! অতীতে নানা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে মহিলাদের পুজো-অর্চনা থেকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল । কিন্তু বর্তমানে পুরুষদের পাশাপাশি পুজোআর্চা, সংস্কৃত, ব্যাকরণে যোগ্যতার সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন মহিলারাও । পশ্চিম বর্ধমানের বৈশাখী তার উদাহরণ ।
বৈশাখী চট্টরাজ ৷ বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের ছড়া গ্রামে । বাবা কার্তিক মুখোপাধ্যায় পণ্ডিত মানুষ । কার্তিকের চেষ্টায় ছড়া গ্রাম এবং সালানপুরের এথোড়া গ্রামে গড়ে উঠেছে চতুষ্পাটি টোল । এখানে বিভিন্ন পেশার মানুষ, পুরোহিতরা আসেন বৈদিক মন্ত্র, সংস্কৃত ও ব্যাকরণ শিখতে ৷ প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেনেই নিষ্ঠার সঙ্গে এই টোল পরিচালিত হয় । বৈশাখী বর্তমানে বিবাহসূত্রে বীরভূমের বাসিন্দা । পুরোহিত তন্ত্র, সংস্কৃত ব্যাকরণ শেখার নেশায় বাবার টোলে তিনি নিয়মিত আসেন । বর্তমানে আর সমস্ত পুজো নিজেই করেন । এবার তাঁর ইচ্ছা, দুর্গাপুজো করার ।
বৈশাখী বলেন, "ছোট থেকে ব্যাকরণ, সংস্কৃত, পুজো-আর্চার পরিবেশে বড় হয়েছি । তাই পুজো করার ইচ্ছে ছোট থেকেই ছিল । বাবার কাছে শিখছি । বাড়িতে যেহেতু দুর্গাপুজো হয়, তাই দুর্গাপুজো করারও ইচ্ছে আছে । অন্যান্য মেয়েদেরও বলব, মনে ইচ্ছে থাকলে এগিয়ে এস ।"