আসানসোল, 1 এপ্রিল: ৩০০ কিলোমিটার পথ হাঁটার পরও বাড়ি ফিরতে পারছেন না বিহার থেকে আসা চার শ্রমিক । হেঁটে নদীও পার হয়েছেন তাঁরা । কিন্তু তারপরও এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেনি । পুলিশি কড়াকড়িতে আটকে যায় বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে । অগত্যা রাস্তার ধারে ডিভাইডারে বসেই দিন কাটছে তাঁদের । কবে বাড়ি ফিরতে পারবে বা আদৌ পারবেন কি না তা তাঁদের জানা নেই । পুরোটাই অনিশ্চিত ।
৩০০ কিলোমিটার হেঁটে, নদী পেরিয়েও বাড়ি ফেরা হচ্ছে না চার শ্রমিকের
বাড়ি ফিরতে হবে । কিন্তু লকডাউনের জেরে মেলেনি যানবাহন । তাই হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বিহার থেকে কলকাতায় কাজ করতে আসা চার শ্রমিক । ইতিমধ্যেই ৩০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে ফেলেছেন তাঁরা । হেঁটে নদীও পার হয়েছে । কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেননি তাঁরা । ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে পুলিশি কড়াকড়িতে আটকে যায় । রাস্তার ধারে ডিভাইডারে বসে দিন কাটছে । কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা জানা নেই ।
বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা ওই চার যুবক রুজির টানে কলকাতায় একটি জুতোর কারখানায় কাজ করতেন । কোরোনা সংক্রমণের জেরে গোটা দেশে লকডাউন হয় । বন্ধ হয়ে যায় কারখানাও । উপায়ান্তর না পেয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে চান ৷ কিন্তু যানবাহন মেলেনি । অগত্যা পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । সেইমত 300 কিলোমিটার হেঁটে বাংলা-ঝাড়খণ্ড বর্ডার পর্যন্ত আসে । কিন্তু সেখানে পুলিশি কড়াকড়িতে আটকে যায় । এরই মাঝে তাঁরা শুনতে পআ‘, রাস্তা বাদ দিয়ে পায়ে হেঁটে যদি নদী পেরোনো যায়, তাহলে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়তে পারবেন । বরাকর নদীও তাঁরা হেঁটে পার হন । কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় । বর্তমানে রাস্তার ধারে ডিভাইডারে বসে দিন কাটছে চারজনের ।
এক শ্রমিক বাল্মীকি রাজবংশী জানান, "অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে । কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু খেতে দিলে খেতে পাচ্ছি । টাকাও নেই । বাড়ির লোকেরা কান্নাকাটি করছে । কীভাবে বাড়ি ফিরব নিজেও জানি না ।"