পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Aug 17, 2022, 1:48 PM IST

ETV Bharat / city

Coal Smuggling Case লালা রক্ষাকবচ পেলেও কেন ফের জেল হেফাজতে ইসিএল কর্তারা, প্রশ্ন আইনজীবীদের

আবারও জেল হেফাজতে (Jail Custody) পাঠানো হল কয়লাপাচার কাণ্ডে (West Bengal Coal Smuggling Case) ধৃত, ইসিএল (ECL)-এর প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম (GM)-সহ নিরাপত্তা আধিকারিকদের ৷ সিবিআই আদালতের (CBI Court) ভূমিকায় তাঁরা অবাক বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী ৷

ECL officers sent to Jail Custody again in Coal Smuggling Case
Coal Smuggling Case ফের জেল হেফাজতে ইসিএল কর্তারা, আদালতের নির্দেশে অবাক অভিযুক্তদের আইনজীবী

আসানসোল, 17 অগস্ট: কয়লাপাচার কাণ্ডে (West Bengal Coal Smuggling Case) ধৃত, ইসিএল (ECL)-এর প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম (GM)-সহ নিরাপত্তা আধিকারিকদের জামিনের আবেদন আবারও খারিজ করে দিল আদালত ৷ বদলে আগামী 30 অগস্ট পর্যন্ত তাঁদের সকলকেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে (Jail Custody) পাঠানো হয়েছে ৷

উল্লেখ্য, আগেই অভিযুক্তদের 14 দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল ৷ সেই মেয়াদ শেষ হতেই মঙ্গলবার ধৃতদের আসানসোলের সিবিআই আদালতে (CBI Court) পেশ করা হয় ৷ দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে আবারও হেফাজতে পাঠানোরই নির্দেশ দেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, জেল বা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই গোয়েন্দারা তদন্তের প্রয়োজনে অভিযুক্তদের জেরা করতে পারবেন ৷ যদিও সূত্রের খবর, গত 14 দিনে ধৃতদের সেভাবে জেরা করেননি গোয়েন্দারা ৷

প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে ইসিএল-এর আটজন কর্তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরাও করেছেন গোয়েন্দারা ৷ জেরা চলাকালীনই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন তাঁরা ৷ পাওয়া গিয়েছে অনেক সাংকেতিক ভাষা ! আপাতত সে সবের মর্মোদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি সূত্রের ৷ অন্যদিকে, এর পর থেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন ধৃতরা ৷

আরও পড়ুন:Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার-কাণ্ডে বিধায়ক শওকতের ছায়াসঙ্গী সাদেককে তলব সিবিআই-এর

মঙ্গলবার ইসিএল-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, তন্ময় দাস এবং বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সুভাষচন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমার ও দুই নিরাপত্তারক্ষী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং রিঙ্কু বেহারাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় ৷ অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আশিস মুখোপাধ্য়ায়, আশিস কুমার, অঙ্কিতা সেনগুপ্ত এবং অমিতাভ মুখোপাধ্য়ায় ৷ অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী ছিলেন রাকেশ কুমার ৷

অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, অবৈধ খনির বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁদের মক্কেলরা ৷ কিন্তু, আদালতে প্রশ্ন ওঠে, কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাজি (Anup Maji) ওরফে লালার (Lala) নামে কেন সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি ধৃত আধিকারিকরা ৷ জবাবে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা যুক্তি খাঁড়া করেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কয়লা চুরি করছে, ইসিএল-এর আধিকারিকদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয় ৷ কারা অবৈধ খনি চালাচ্ছে, সেটাই বা তাঁরা জানবেন কীভাবে ?

এই প্রসঙ্গে, অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, "চার্জশিটে যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই অনুপ মাজি ওরফে লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন ৷ অথচ ইসিএল আধিকারিকদের জামিন দিচ্ছেন না আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক ৷ এই ঘটনা আমাদের অবাক করে দিয়েছে ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details