আসানসোল, 18 জুলাই: সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেই কয়লাপাচারের কালো টাকা নিত ইসিএল কর্তারা । সোমবার সিবিআই কোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । সিবিআই হেফাজতে থাকার পর সোমবার ফের ইসিএলের 8 জন প্রাক্তন ও বর্তমান আধিকারিককে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হল(ECL officers produced in CBI Court) ।
সিবিআই সোমবার দাবি করে, ভাউচারে সাংকেতিক ভাষার কোড ডিকোডিং করা গেলেই এই ইসিএল কর্তারা কবে, কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তা প্রমাণ হবে । বিচারক তাই 8 জন ইসিএল আধিকারিককে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠান । আপাতত 14 দিনে ওই সাংকেতিক ভাষা বোঝার চেষ্টা করবে সিবিআই ।
গত 13 জুলাই কয়লাপাচার মামলায়(Coal Smuggling Case)সিবিআই 7 জনকে গ্রেফতার করেছিল । তাঁরা হলেন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ চন্দ্র মৈত্র ও মুকেশ কুমার । এছাড়া দু'জন নিরাপত্তা আধিকারিকও গ্রেফতার হয় ৷ তাঁরা হলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারা ।
14 জুলাই তাদেরকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলার পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জামিন নাকচ করে 5 দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন । অন্যদিকে 15 জুলাই পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল এবং ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয় । 16 জুলাই তাকে আদালতে তোলার পর 3 দিনের সিবিআই হেফাজত মেলে । সোমবার সিবিআই হেফাজতের শেষে ধৃত 8 জনকেই পুনরায় আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয় । বিচারক শুনানির শেষে 8 জনকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজত দেন ।
আরও পড়ুন:কয়লা কাণ্ডে ইসিএলের জিএম-সহ গ্রেফতার 7
এদিন কোর্টে ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই জানায়, সাদা কাগজে সাংকেতিক ভাষায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কয়লার বেআইনি টাকা লেনদেনের প্রমান মিলেছে । ওই কোডগুলি ডিকোডিং করলেই সম্পূর্ণ তথ্য মিলবে । অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, '"হেফাজতে রাখার পরেও সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য, প্রমাণ হাজির করতে পারেনি । ওসব সাদা কাগজে সাংকেতিক ভাষার কথা ভিত্তিহীন । ওসব দিয়ে কিছুই প্রমাণ হয় না।"