আসানসোল, 14 ডিসেম্বর: কারখানার দূষিত রাসায়নিক এসে মিশছে দামোদরের জলে । সেই জল পরিশুদ্ধ করে বিস্তীর্ণ এলাকায় পৌঁছানোই চ্যালেঞ্জ আসানসোল পৌরনিগমের । রয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট । তাতে কীভাবে কাজ হয় ? আদৌ কি পরিশুদ্ধ হচ্ছে পানীয় জল ? খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ।
আসানসোলের বিস্তীর্ণ শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য আসানসোল পৌরনিগমের 3টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে । একটি কালাঝরিয়াতে, একটি ভূতাবুড়িতে এবং আরেকটি ডিহিকাতে । এর মধ্যে কালাঝরিয়া ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সবচেয়ে পুরোনো । পরবর্তীকালে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন জল প্রকল্প তৈরি হয় ডিহিকাতে এবং ভূতাবুড়িতে । বর্তমানে আরেকটি বড় ভূগর্ভস্থ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে ভূতাবুড়িতে । এই 3টি জলপ্রকল্প থেকে আসানসোল শহর ও শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জল সরবরাহ হয় । অন্যদিকে কুলটি এলাকায় নতুন জলপ্রকল্প তৈরি হয়েছে যা কুলটি এলাকাতেই জল সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে । মূলত মাইথন জলাধারের জমা জল ছাড়া হয় যা দামোদর নদী দিয়েই আসে । এই জলেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা হয়ে থাকে । ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয় জল সমস্যা মেটানোর জন্য প্রতিদিন 23 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কতটা পরিশুদ্ধ জল পাচ্ছেন আসানসোলের মানুষ ? অভিযোগ উঠছে, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন কলকারখানার রাসায়নিক এসে মিশছে দামোদর নদীতে । আর সেই জলই আসানসোল পৌরনিগমের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পরিশুদ্ধ হচ্ছে ।
পৌরনিগমের জল বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পরিষদ তথা বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পূর্ণশশী রায় জানিয়েছেন, "আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে কারখানার রাসায়নিক জলে দূষিত দামোদরের জলকে পরিশুদ্ধ করতে । এ বিষয়ে আমরা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করছি ।" যদিও রাসায়নিক মেশা দূষিত দামোদরের জল কোনও ভাবেই পরিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়, বলছেন আসানসোলের বিশিষ্ট চিকিৎসক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।