আসানসোল, 9 মার্চ : কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব এ বছর হয়নি । স্বভাবতই মন খারাপ ছিল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উৎসব প্রেমী মানুষজনের । এছাড়া প্রতিবছরই বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করতে মানুষজন দুর-দুরান্ত থেকে শান্তিনিকেতন ছুটে যেতেন । কিন্তু সেই অভাব খানিকটা হলেও পূরণ করল আসানসোলে বসন্ত উৎসব । গত 3 বছর ধরে আসানসোলে শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসব শুরু হয়েছে । কবিগুরুর গানে এবং সাংস্কৃতিক আবহে এই বসন্ত উৎসব পালিত হয় । অন্য বছরে যেখানে শুধু আসানসোলের মানুষজনই থাকতেন ৷ এবছর সেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না ।
শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের স্বাদ আসানসোলে
শান্তিনিকেতনে এবার বসন্ত উৎসব পালিত না হওয়ায় আসানসোলে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন ৷ প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও বহু বাঙালি উৎসবে যোগ দেন ৷
আসানসোলের শতাব্দী পার্কে আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় । এবছর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এমনকী ঝাড়খণ্ডের প্রচুর বাঙালি এই বসন্ত উৎসবে যোগ দেন । যেহেতু আসানসোলে বেশ কয়েকটি বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়, তাই এই উৎসব একটু দেরিতে শুরু হয় । অন্যান্য উৎসবে প্রভাতফেরি সেরে বিশিষ্টজনেরা বসন্ত উৎসবে যোগ দেন । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আবির মাখিয়ে বসন্ত উৎসব পালিত হয় ৷ দুপুরের ছিল জমিয়ে খাওয়া দাওয়া । এককথায় নাচ, গান, কবিতা, ভূরিভোজ, আড্ডা সব মিলে জমে ওঠে আসানসোলের বসন্ত উৎসব । পুরুলিয়া থেকে এসেছিলেন সুস্মিতা চৌধুরি ৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবছরই বসন্ত উৎসবে শান্তিনিকেতন যাই । এবছর উৎসব হচ্ছে না । কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় জানতে পারলাম আসানসোলেও এরকম একটি বসন্ত উৎসব হয় । জানতে পেরে এখানে এসেছি । খুব আনন্দ করলাম ।’’ শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট শিল্পী বরুণ দাস বলেন, ‘‘যখন নিজের শহরেই এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, তখন কেন শান্তিনিকেতন যাব । আমি কয়লাঞ্চলের লোকশিল্পী । এখানে জমিয়ে গান গাইব ।’’