কুলটি, 1 অক্টোবর : গত 23 সেপ্টেম্বর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কুলটি থানার বরাকর চেকপোস্টে নাকা চেকিং চলাকালীন এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় । ওই যুবকের কাছে 25টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় । বাইকে করে ব্যাগের মধ্যে খুব সাধারণভাবে সে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল পাচারের জন্য । ঘটনায় চমকে যায় পুলিশমহল । এরপরই ধৃত ওই যুবক আশ মহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তরপ্রদেশ থেকে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । কুলটি থানার ডিসেরগড় ভাগাবাঁধ এলাকায় ধৃত আশ মহম্মদের নির্মীয়মাণ বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড ঘরে গড়ে উঠেছিল অস্ত্র কারখানা । সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে আরও প্রচুর অস্ত্র, অস্ত্র বানানোর সরঞ্জাম ।
এর আগে কুলটি থানার নিয়ামতপুর-লছিপুর সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছিল এসটিএফ । ফের কুলটি থানারই ডিসেরগড় অঞ্চলে এই অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গেল । আজ কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদি জানান, নাকা চলাকালীন আশ মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বরাকর চেকপোস্টে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উত্তরপ্রদেশের আনোয়ার খানের হদিশ পায় পুলিশ । আনোয়ার-সহ তার চালক আফতাব খানকে গ্রেফতার করা হয় । এই আনোয়ার অস্ত্র কেনাবেচার কাজ করত । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঝাড়খণ্ডে প্রথম একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে । পরে তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিসেরগড়ে এই অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া যায় ।