হায়দরাবাদ, 12 সেপ্টেম্বর: 35 বছরের অর্জুন, যিনি বিবাহিত এবং তাঁর 2 সন্তান রয়েছে ৷ হায়দরাবাদ শহরের একটি সংস্থায় মাসে 1 লক্ষ টাকার চাকরি করেন ৷ দু’বছর আগে তিনি ঋণ নিয়ে একটি বাড়ি কিনেছেন ৷ বাড়ির 40 হাজার, গাড়ির 15 হাজার সহ কিছু ব্যক্তিগত ঋণের (Bank Loan) টাকা মিটিয়ে জীবন ব্যক্তিগত জীবন তাঁর ভালোই চলছিল ৷ বেশি ঋণ নেওয়ায় তাঁর মাসিক আয়ের অধিকাংশটাই কিস্তি মেটাতে চলে যাচ্ছে ৷ ফলে হঠাৎই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে মাসিক খরচ চালানো দুষ্কর হয়ে যায় ৷ তাঁর অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় ৷ ফলে সময় মতো ঋণ মেটাতে ব্যর্থ হন ৷ স্বাভাবিকভাবেই ঋণদাতা সংস্থার তরফেও চাপ বাড়তে থাকে ৷
অর্জুনের মতো পরিস্থিতি অনেকের সঙ্গেই হয়ে থাকে ৷ আর এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনও রাস্তা তাঁরা পান না ৷ আর এই পরিস্থিতি তৈরি হয় শুধুমাত্র তাঁদের যে ঋণ নেওয়ার জন্য বলা হয়, তাই তাঁরা মেনে নেন ৷ আর এই সব সমস্যার প্রধান কারণ, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখার সাধারণ নিয়মটুকু না মেনে চলা ৷ আর এখনের ট্রেন্ড হল, ভবিষ্যতের আয়কে বর্তমানেই খরচ করে ফেলা ৷ আর আর্থিক বিষয়ের পরিকল্পনা একবার এলোমেল হয়ে গেলে, তাকে আবারও সঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যায় (Unsolicited loans Cast an Inescapable Trap) ৷
আরও পড়ুন:জেনে নিন সোনা ও রুপোর বাজারমূল্য