হায়দরাবাদ, 6 ফেব্রুয়ারি: কর (Income Tax) একটি জটিল বিষয় । এটি আপনার বয়স থেকে শুরু করে উপার্জন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং খরচের মতো বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে ঠিক করতে হয় (Tax planning) । উপার্জিত আয়ের উপর একজনকে কত কর দিতে হবে এবং এই বোঝা কমাতে তারা কী করতে পারেন? তা জেনে রাখা সবসময় ভালো।
কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রস্তাবিত নতুন কর ব্যবস্থার পরিবর্তনগুলিও স্বভাবতই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে । চলুন জেনে নেওয়া যাক সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর কর বাঁচানোর সুযোগ কতটুকু? গত কয়েক বছরে আয়কর ব্যবস্থা সহজ করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । এর আগে আয়কর স্ল্যাব সংশোধন, ছাড়ের সীমা বাড়ানো এবং নতুন বিভাগ আনার সুযোগ ছিল । বাজেট 2020-21 কোনও ছাড় ছাড়াই নিষ্ক্রিয় আয়ের উপর প্রযোজ্য স্ল্যাব অনুযায়ী সরাসরি কর প্রদানের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে ।
যারা বিনিয়োগ করতে পারে না
অনেক মানুষ কর ছাড়ের (deduction) দাবি করতে পছন্দ করেন। যেহেতু বিকল্প রয়েছে তাই তাঁরা ধারা 80সি এর অধীনে 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা ছাড়, 2 লক্ষ টাকা হোম লোনের সুদ, 80ডি ধারার অধীনে 25 হাজার টাকা শিক্ষা ঋণের সুদ প্রদান, এনপিএস (জাতীয় পেনশন স্কিম) ইত্যাদি দাবি করার জন্য পুরানো কর ব্যবস্থা পছন্দ করছে । বিগত আর্থিক বছরে সমস্ত রিটার্ন দাখিলকারীদের 1 শতাংশেরও কম নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime) বেছে নিয়েছে । সরকার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে যাতে যারা বিনিয়োগ করতে পারে না তারা এটি বেছে নিতে পারেন । তাছাড়া, এটি 'ডিফল্ট'-এ পরিবর্তন করা হয়েছে । কিন্তু আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কর ব্যবস্থা বেছে নিতে পারবেন ৷
প্রতি মাসে 62 হাজার 500 টাকা
প্রস্তাবিত নতুন কর ব্যবস্থায় বছরে 7 লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না । তবে 50 হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও প্রয়োগ করা হয়েছে । যাদের মোট আয় 7 লক্ষ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত তাদের কোনও আয়কর দিতে হবে না । এর মানে হল যে যারা প্রতি মাসে 62 হাজার 500 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন, তারা কর থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত । দশ বছর আগে, আয় 82 হাজার 400 টাকা পর্যন্ত কর দিতে হতো । এখানে লক্ষণীয় যে নতুন কর ব্যবস্থায় কলামের সংখ্যাও কমানো হয়েছে । যাদের আয় 15 লক্ষ টাকার বেশি, তাদের জন্য 30 শতাংশের বেশি কর ব্র্যাকেট বজায় রাখা হয়েছে ।