নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: মূল্যবৃদ্ধির বহর বাড়ছে মার্কিন মুলুকে ৷ আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে পড়শি কানাডা থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকী সুদূর এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ভারতকেও (US Policy Rates influencing Indian Economy) ৷ বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাখ্যায় বলছেন, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে ৷ ফলে বিভিন্ন পলিসি রেট বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ তার রেশ গড়াচ্ছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর ৷ কারণ, এই ব্যাংকগুলির মার্কিন পলিসি রেটের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে ৷ ফলে আমেরিকা তার পলিসি রেট বাড়ালে এই ব্যাংকগুলিকেও তাদের সুদের হার বাড়াতে হবে ৷ আর সেই সুদের বোঝা বইতে হবে সাধারণ গ্রাহকদের ৷
আগামী সপ্তাহে আমেরিকা তার মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনবে ৷ কিন্তু, তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ঝরে পড়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের গলায় ৷ সম্প্রতি সেনেট কমিটির একটি শুনানির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে ৷ সেখানে তিনি জানান, এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম এই অর্থনীতি লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফিতীর মুখে পড়ে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে ৷ পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৷ জেরোমের এমন মন্তব্যে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দিনে মার্কিন পলিসি রেট আরও বাড়বে ৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারত-সহ অন্য়ান্য দেশের ব্যাংকগুলির উপর ৷
সম্প্রতি যে তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্য়ে আনা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন গ্রাহকরা পণ্যের দাম হিসাবে যে টাকা জমা করেন, গত জানুয়ারি মাসে তাতে সামগ্রিকভাবে 0.5 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ৷ অন্যদিকে, গত একবছর বা শেষ 12 মাসে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল 6.4 শতাংশ ৷ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে 10 শতাংশ ৷ শক্তিসম্পদের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে 9 শতাংশের কাছাকাছি ৷ এর ফলে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের উপর চাপ মারাত্মক বেড়েছে ৷ যার জেরে তাদের পলিসি রেট প্রায় 0 (শূন্য) থেকে 5 শতাংশের কাছাকাছি পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে ৷ আর এই বৃদ্ধি ঘটেছে গত একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৷