হায়দরাবাদ, 28 ফেব্রুয়ারি: গত তিন বছরে করোনা অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আদানি বিপর্যয়ের মাঝে শেয়ার বাজারের ওঠানামা সকলে দেখেছে । সুতরাং, শেয়ার বাজারের ওঠানামা স্বাভাবিক (Market fluctuations) ৷ তাই যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে । শেয়ার বাজারের সূচকগুলি যখন উঠছে তখন একটি স্থির দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত (Investment plans during volatility) । তাড়াহুড়ো করে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা বাঞ্ছনীয় নয় । প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনের দিকে নিজের লক্ষ্য স্থির রাখুন ।
গত কয়েক বছরে শেয়ার বাজারের সূচকগুলি বেড়েছে এবং এ যাবৎ সেগুলি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে । এই সময় আপনার ইক্যুইটি বিনিয়োগের মূল্য 5-10 শতাংশ বেড়ে যেতে পারে । বর্তমানে বাজারে অনিশ্চয়তা রয়েছে । তবে আপনার বিনিয়োগে সামঞ্জস্য রাখার ক্ষেত্রে এটি সঠিক সময় হতে পারে । ভালো পারফরম্যান্স রয়েছে এমন কোম্পানি এবং তহবিল বিনিয়োগ করে রাখুন ৷ আপনার ইক্যুইটি বিনিয়োগকে একটি পছন্দসই মানদণ্ডে আনার চেষ্টা করা উচিত ।
কখন বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে:
শেয়ারবাজার অনেক উত্থান-পতন দেখেছে ৷ যেমন-মন্দা, অতিমারী, যুদ্ধ, রাজনৈতিক উত্থান । তবে এর জন্য অস্থির হয়ে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা উচিত নয় । শেয়ারবাজারের উত্থান পতনে সাময়িক ক্ষতি হতে পারে ৷ তবে তা সত্ত্বেও এটি দীর্ঘমেয়াদে ভালো লাভ দেবে । তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্বেগ কাটিয়ে বিনিয়োগ করুন ৷ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় স্পষ্টভাবে মনে রাখা উচিত, বার্ষিক 10-20 শতাংশ সংশোধন সম্ভব । তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না । আপনি যদি আপনার লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেন বা অন্য কোনও বাধ্যতামূলক কারণ থাকে, তবেই বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা উচিত । মনে রাখবেন ক্ষতি চিরস্থায়ী নয় ।
কী হারাতে পারেন ?
সব কোম্পানির শেয়ার একই হারে পড়ে না । বাজার পতনের সময়ও কিছু স্টক লাভ করে । সর্বদা মনে রাখবেন যে উচ্চ ঋণ এবং কম দামের স্টকগুলি এড়ানো উচিত । অবিলম্বে তাদের থেকে পরিত্রাণ পান ৷ প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট রয়েছে এমন কোম্পানিগুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত ।
কেন বৈচিত্র্য ?