হায়দরাবাদ, 8 জুন:হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট ঘিরে ভারতে তোলপাড় পড়েছে সম্প্রতি। দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থার স্টকগুলিকে ব্যাপক ধস নেমেছিল ৷ এবার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে একটি আফ্রিকান কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ করা হয়েছে । ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি গবেষণা রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ টিঙ্গো গ্রুপকে নিশানা করেছে।
নিউ জার্সিতে প্রধান কার্যালয় থাকা এই সংস্থা বিভিন্ন আর্থিক জালিয়াতি করেছে বলে হিন্ডেনবার্গের দাবি ৷ শুধু তাই সংস্থার কর্ণধারকেও নিশানা করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে গিয়েছে । একটি সূত্রের দাবি, টিঙ্গো গ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দাম 16 শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে । পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই টিঙ্গোর সিইও ডজি এমমোবুওসি। ডজিকে সংবাদমাধ্যমে একজন বিলিয়নিয়ার হিসেবেই বর্ণনা করা হয় । এই বছরের শুরুর দিকে তিনি নাও-প্রিমিয়ার লিগের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করেন ৷ এই ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবার তাঁর সংস্থাকেই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করল হিন্ডেনবার্গ।
আরও পড়ুন:জাতীয়তাবাদ দিয়ে জালিয়াতি ঢাকা যায় না, আদানিকে পালটা তোপ হিন্ডেনবার্গের
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ইটিভি ভারতকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলেছে,"আমরা ডজির কিছু জালিয়াতির হদিশ পেয়েছি । প্রাথমিকভাবে তিনি নাইজেরিয়াতে প্রথম মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ তৈরি করার জন্য তাঁর নিজের পড়াশোনা সংক্রান্ত তথ্য জাল করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে । আমরা অ্যাপটির প্রকৃত নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ যিনি ডজির দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেছেন ৷"
রিপোর্ট অনুসারে, ডজি 2007 সালে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রামীণ উন্নয়নে পিএইচডি করেন বলে দাবি করেছেন । তবে গবেষণা রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, টিঙ্গো গ্রুপের সিইও ডজি এমমোবুসি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন ৷ রিপোর্টে বলা হয়, "আমরা ডিগ্রি যাচাই করার জন্য স্কুলে যোগাযোগ করেছি । কিন্তু তারা তাদের সিস্টেমে যাচাই করে জানিয়েছে তাঁর নামে কেউ ওখানে পড়শোনা করেনি ৷" গবেষণার রিপোর্ট অনুসারে, ডজিকে 2017 সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং নাইজেরিয়ান অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ কমিশন অনুসারে, জাল চেক ইস্যু করার জন্য 8-গণনার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি । পরে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি হয় ।