নয়াদিল্লি, 19 ফেব্রুয়ারি: ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া আদানি গোষ্ঠী (Adani Group Crisis) ৷ তার জন্য বাজার থেকে তোলা বিপুল পরিমাণ ঋণের একটি অংশ সময়ের আগেই পরিশোধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা (Adani Group plans to Repay Loans) ৷ যত দ্রুত সম্ভব এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চায় আদানি গোষ্ঠী ৷ তার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷
স্থির করা হয়েছে, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, প্রাইভেট ইকুইটি এবং অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে মূলধন সংগ্রহ করে বন্ড পরিশোধ করবে আদানি গোষ্ঠী ৷ উল্লেখ্য, আগামী বছরের জুন মাসের শেষ দিকে আদানি গ্রিন এনার্জির একটি বন্ড বাজারে আসতে চলেছে ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তার আগেই সংস্থার ভাবমূর্তি ফেরানো অত্যন্ত জরুরি ৷ কারণ, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের শেয়ার বাজার বহুলাংশে আদানি গোষ্ঠীর এই নয়া বন্ড এবং সংস্থার ঋণ গ্রহণের যোগ্যতার উপর নির্ভর করবে ৷
আরও পড়ুন:মুখবন্ধ খামে প্রস্তাব গ্রহণ নয় ! আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট (Hindenburg Research Report) প্রকাশ্যে আসার পর আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে তারা ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময়ের আগেই সংস্থার শেয়ারের বিনিময়ে ঋণ ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সেই কারণেই আদানি গোষ্ঠীর তরফে স্বল্পমেয়াদী পেপার বন্ডের মাধ্যমে গৃহীত ঋণগুলি পরিশোধ করা নিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যদি কিছু সম্পদের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সেই সম্পদ ব্যবহার করে ঋণ মেটানো যেতে পারে ৷
এর পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির সঙ্গেও কথা বলছে আদানি গোষ্ঠী ৷ একইসঙ্গে, সাধারণ বন্ড হোল্ডার বা ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও দফায় দফায় কথা বলা হচ্ছে ৷ তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীতে তাঁদের করা বিনিয়োগে কোনও ঝুঁকি নেই ৷ অর্থাৎ তাঁদের কোনও আর্থিক ক্ষতি হবে না ৷ আদানি গোষ্ঠীর কাছে যে পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ রয়েছে, প্রয়োজনে সেগুলির সাহায্যে ঋণ পরিশোধ করা হবে ৷ এমনকী, আদানি গোষ্ঠী তার ব্যক্তিগত ক্রেডিট এবং নগদ প্রবাহের মাধ্যমেও ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবে ৷
বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতি মাথায় রেখে আদানি গোষ্ঠী স্থির করেছে, তারা আপাতত নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নেবে না ৷ নতুন কোনও বিনিয়োগও করবে না ৷ ঠিক এই কারণে, ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠী ডিবি শক্তি উৎপাদনকেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করেছে ৷ পাশাপাশি, যে প্রকল্পগুলির কাজ চলছে, সেগুলিতেও যথাসম্ভব ব্যয় কমানো হচ্ছে ৷ তবে, এতকিছুর মধ্যেও উত্তরপ্রদেশের মেরঠ-প্রয়াগরাজ রুটে 464 কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বন্ধ করা হবে না ৷ সেটি নির্ধারিত সময়েই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা ৷