হায়দরাবাদ, 6 মে : কোরোনা সংক্রমণ মানুষের স্বাস্থ্যে এবং জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে । একইভাবে দেশের অর্থনীতিতেও থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস । কয়েকটি দেশ যারা সঠিক পদক্ষেপ করতে পারেনি , সেখানে মৃতের সংখ্যা বেশি । বিপরীতে যে দেশগুলি সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ করেছে তারা আর্থিক মন্দার সঙ্গে লড়ছে । ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের এক উন্নয়নশীল দেশের কাছে এই পরিস্থিতি আরও কঠিন ও ভয়াবহ । একাধিক শিল্পপতি এবং অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভাইরাসের কারণে যত মানুষ মারা যাচ্ছেন তাঁর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ অনাহারে মারা যাবেন ।
এই কথা সত্যি যে, ছয় সপ্তাহের লকডাউন ইতিমধ্যেই দেশকে এক কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে । একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ । প্রচুর মানুষ চাকরি হারাবেন বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা । মার্চ-এপ্রিলে বেড়েছে বেকারত্বের হারও । কিন্তু এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে কীভাবে ? যেখানে প্রত্যেক দেশবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব । সবথেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষ । বন্ধ রুজি-রুটি । অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র, কিন্তু সেই পদক্ষেপ আখেড়ে কতটা লাভবান বা সাধারণ মানুষের উপর তার প্রভাব পড়ছে কি না সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ ।
কর-রাজস্ব বাবদ রাজ্যগুলি পায় 46 শতাংশ । নন-ট্যাক্স রাজস্ববাবদ রাজ্যগুলি পায় আট শতাংশ । এবং বাকি পরিমাণ হল কেন্দ্রীয় কর, 26 শতাংশ ও অনুদান 20 শতাংশ । রাজ্যগুলির জন্য আয়ের অন্যতম উৎস হল SGST (39.9 শতাংশ), পেট্রলজাত দ্রব্যে VAT(21.5 শতাংশ), আবগরি (11.9 শতাংশ), স্ট্যাম্পস-রেজিস্ট্রেশন (11.2 শতাংশ) এবং যানবাহন-কর (5.7 শতাংশ) । এই আয় লকডাউনের কারণে বন্ধ ।