Record Aman dhan in West Bengal : করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও রাজ্যে রেকর্ড আমন চাষ

করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বছরেও রেকর্ড আমন ধান চাষে নজির গড়ল বাংলা (Record Aman dhan in West Bengal) ।

কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি : সাধারণত কৃষিকাজে জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু প্রাকৃতিক বিপর্যয় । সম্প্রতি রাজ্য সরকার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্যের জন্য কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে । একদিকে করোনার মতো অতিমারি, অন্যদিকে যশ ও জাওয়াদের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় । তথ্য বলছে, এরপরও রাজ্য 20-21-এর খরিফ মরশুমে রেকর্ড আমন ধান উৎপাদন করেছে (West Bengal produces record Aman dhan in Corona and natural calamity) ।

এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকের পাশে রয়েছে । আর সে কারণে এই সাফল্য এসেছে ।” তিনি জানান, 2020-21 অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের তরফে বাংলা ফসল বিমা যোজনার মাধ্যমে 23 লক্ষ পরিবার শস্য বিমার 430 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে । এছাড়া 28 লক্ষ পরিবারকে 230 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে নতুন করে চাষ করার জন্য ।

এছাড়া যে সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায় নোনা জল ঢুকে গিয়েছিল, সেখানে নোনা স্বর্ণধান চাষ করা হয়েছে । দু'লক্ষ বিঘার উপরে জমিতে এই নোনা স্বর্ণধান চাষ করা হয়েছে এবং এর থেকে সাধারণ মানুষ লাভবান হয়েছেন । এই ধান আমন ধানের মতো খেতে । সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী দিনে যেখানে যত মেলা হবে, সর্বত্র এই নোনা স্বর্ণধানের উপস্থাপন করা হবে ।

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, একদিকে করোনা, অন্যদিকে জাওয়াদ-যশ-এর মতো ঘূর্ণিঝড়, তা সত্ত্বেও খরিফ মরশুমে লাভের মুখ দেখেছেন বাংলার কৃষকরা । এই মরশুমে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে 183 মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে ।

তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ ধান উৎপাদিত হয় এই বিপর্যয়ের বছরেও তার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে রাজ্যে । গত খরিফ মরশুমে রাজ্যের উপর দিয়ে আমফানের মতো একটি মহা বিপর্যয় গিয়েছে । বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এর ফলে খরিফ চাষের মরশুমে সাংঘাতিক ক্ষতির মুখে পড়বে রাজ্য । কিন্তু তাকে ভুল প্রমাণ করে গত খরিফ চাষের মরশুমে 180 মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদন করেছিল রাজ্য সরকার । এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে 183 মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করেছে রাজ্য।

যশের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মোট 691 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে শস্য বিমার অর্থ রয়েছে, নতুন করে চাষের জন্য টাকাও রয়েছে । কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার একটি টাকাও রাজ্য সরকারকে দেয়নি বলে অভিযোগ । সব খরচ করেছে রাজ্য । মন্ত্রীর ভাষায়, কেন্দ্র বঞ্চনা করলেও এই রাজ্যকে পিছিয়ে রাখা যাবে না ।