পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

আমফানে ক্ষতিপূরণের তালিকায় পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলের নাম, বিক্ষোভ মহিষাদলে

ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার দুই ছেলে জানাজানি হতেই মহিষাদলে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি ঘেরাও করে গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি,বিক্ষোভকারীরা লোভী, ওদের সব কিছু দিয়েও সন্তুষ্ট করা যাবে না।

Mahishadal
Mahishadal

By

Published : Jul 8, 2020, 6:44 PM IST

মহিষাদল,8 জুলাই : আমফানে ক্ষতি পূরণের তালিকায় এলাকার বহু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম না থাকলেও ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার দুই ছেলের। ক্ষতিপূরণ ফেরতের দাবিতে আজ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল 2 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা । বেশ কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।যদিও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা লোভী, অনেক পেলেও ওদের লোভ কমবে না।

মহিষাদল ব্লকের নাটশাল দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য নমিতা দাস। স্থানীয় সূত্রে খবর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ওই পঞ্চায়েত সদস্য তার এলাকার কুড়ি জন ব্যক্তিকে কুড়ি হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিয়েছেন। তালিকা প্রকাশের পরই দেখা যায় নমিতা দেবী সেই তালিকাতেই তার নিজের দুই ছেলের নামও রেখেছেন। ইতিমধ্যেই দুজনের অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ হাজার টাকা পৌঁছে গিয়েছে। অথচ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যার পাকা বাড়ি হওয়া সত্বেও ক্ষতিপূরণ পেলেন। অথচ ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ। আর সেই কারণেই আজ সকাল থেকে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে তার দুই ছেলের খাতে জমা টাকা সরকারি কোষাগারে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।


বিক্ষোভকারী এক এলাকার বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন," ঝড়ের প্রভাবে বাড়িঘর প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাতেই আমরা কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছি একটা ত্রিপল পর্যন্ত পাইনি। ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা। অথচ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার দুই ছেলে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক। তা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।" যদিও পঞ্চায়েত সদস্যা নমিতা দাস তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “এলাকায় সাড়ে তিনশ জন আবেদন করেছিল ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য। তার মধ্যে মাত্র কুড়ি জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details