কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর : দুর্গাপুজো নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড হয় ভুয়ো তথ্য । ছড়াচ্ছিল বিভ্রান্তি । রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । অবশ্য তার আগেই পদক্ষেপ করেছিল CID । পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে লালবাজার । সেই সূত্র ধরেই কলকাতা থেকে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের সাইবারক্রাইম বিভাগ । কেশবচন্দ্র মণ্ডল এবং শুভজিৎ ঘোষকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় ।
গত কয়েকদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছিল একটি মেসেজ । যেখানে দাবি করা হয়, দুর্গাপুজোর সময় বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল চারটে পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে । ঠাকুর বিসর্জনে প্রতিমা মণ্ডপ থেকে বের করে রাখতে হবে । তা নিয়ে যাবেন পৌরনিগমের কর্মীরা । মণ্ডপে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ । অষ্টমীর অঞ্জলিতে ফুল দেওয়া নিষিদ্ধ । কাটা ফলের ব্যবহার করা যাবে না । মণ্ডপে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে কোরোনা পরীক্ষা হবে । এই ধরনের বেশকিছু নির্দেশিকার কথা বলা হয় । জানানো হয় রাজ্য সরকার সেই নির্দেশিকা তৈরি করেছে ।
দুর্গাপুজো নিয়ে ফেক মেসেজ ফরওয়ার্ড, কলকাতায় গ্রেপ্তার আরও 2
দুর্গাপুজো নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো তথ্য ফরওয়ার্ড হয় । CID-র তরফে আগেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । আবার দুইজনকে গতকাল গ্রেপ্তার করে লালবাজার ।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ দিবসে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি ইঙ্গিত দেন, ধর্মীয় মেরুকরণের জন্য BJP-র IT সেল থেকে এই ধরনের মেসেজ ছড়ানো হচ্ছে । তিনি বলেন, এই ধরনের দোষীদের প্রকাশ্যে এনে 100 বার কান ধরে ওঠবস করানো হবে । জানিয়ে দেন, এবছর দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও বৈঠক হয়নি ।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর গতি আসে তদন্তে । 9 সেপ্টেম্বর উত্তর শহরতলির ঘোলা থেকে রাজু বিশ্বাস এবং বরানগর থানা এলাকা থেকে প্রভুজিৎ আচার্যকে গ্রেপ্তার করে CID ।গতকাল কলকাতায় রিজেন্ট পার্ক এবং পঞ্চসায়র এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কেশবচন্দ্র মণ্ডল এবং শুভজিৎ ঘোষকে ।