পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

লকডাউনে রাজমিস্ত্রি থেকে ফল বিক্রেতা হয়ে ওঠার কাহিনী রায়গঞ্জের সুনীল চৌহানের - Lockdown

লকডাউনে রুজিরুটি খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। সংসার চালাতে অধিকাংশই বেছে নিয়েছেন বিকল্প রোজগারের পথ। এমনই একজন রায়গঞ্জের সুনীল চৌহান। রাজমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে বর্তমানে তিনি ফল বিক্রেতা।

Change of profession
Change of profession

By

Published : Jun 5, 2020, 1:01 PM IST

রায়গঞ্জ, 5 জুন : লকডাউন বলে কোন কিছু হতে পারে, তা হয়তো সকলেরই কল্পনাতীত ছিল। কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি করা হল লকডাউন ৷ আর তাতেই রুজি-রুটি খোয়ালেন লক্ষাধিক মানুষ। পেটের দায়ে অনেকেই বদলেছেন পেশা। দোকানদার বা টোটোচালক রাতারাতি হয়ে গিয়েছেন সবজিওয়ালা। ঠিক এমনটাই হয়েছে রাজমিস্ত্রি সুনীল চৌহানের সঙ্গেও।

রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুনীল চৌহান পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি। বয়স্ক মা, স্ত্রী ও ছোটো একটি ছেলেকে নিয়ে সুখী সংসার ছিল সুনীলের। লকডাউনের আগে অবধি রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চলছিল বেশ ভালো ভাবেই। হঠাৎ লকডাউন জারি হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় কাজ। সঞ্চিত টাকা দিয়ে কতদিনই বা সংসার চলে? এদিকে সরকারের থেকেও মিলছে না সাহায্য। বাধ্য হয়ে সুনীল বেছে নেন রোজগারের অন্য পথ।

পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাতে বর্তমানে রায়গঞ্জ সুপার মার্কেটের পাশে ফলের দোকান নিয়ে বসছেন সুনীল। তবে বিক্রি-বাট্টা তেমন নেই, সংসার চালাতেও তাই বেগ পেতে হচ্ছে সুনীলকে। তিনি বলেন, "এখন রাজমিস্ত্রীর কাজ নেই। সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সংসার চালানোর জন্য এই পথ বেছে নিয়েছি । দিনের শেষে যা রোজগার হচ্ছে, তা দিয়ে কোনরকমে সংসার চলছে। ফল বিক্রির পেশা বেছে না নিলে না খেয়ে মরতে হত গোটা পরিবারকে। "

শুধু সুনীল নয়, এইরকম আরও হাজারও উদাহরণ রয়েছে, যারা লকডাউনের কারণে নিজেদের পেশা খুইয়েছেন। কেউ খুঁজে নিয়েছেন বিকল্প পথ, আবার কেউ বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যাকেই।

ABOUT THE AUTHOR

...view details