পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে রাজ্য সরকার, অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কোরোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় যখন কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসেছিল, তখন অসহযোগিতা করেছিল রাজ্য সরকার, এখন আর্থিক অনুদানের লোভে সহযোগিতা করছে সরকার।

By

Published : Jun 6, 2020, 1:59 PM IST

Published : Jun 6, 2020, 1:59 PM IST

Sujan chakraborty
Sujan chakraborty

কলকাতা, 6 জুন : কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে, এমনটাই অভিযোগ করলেন বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, অতিরিক্ত অর্থ সাহায্যের জন্যই কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার।

কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময়, তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে । এবার ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে সেই একই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যদিও এইবার তাদের সঙ্গে খাতির করেই চলেছে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতাও করছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের এই দ্বিচারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বামফ্রন্ট ।

কোরোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যখন রাজ্যে আসে, তখন রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে, এই অভিযোগ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে । এখন আমফান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সেই একই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে । তাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত দু'রকম। কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর রাজ্য সরকার ভীত হয়ে যাচ্ছিল যে, তাদের যাবতীয় মিথ্যা ও গোপন তথ্য ধরা পড়ে যাবে। সেই কারণে তারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে যথাযথভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিধি দল গেলে তাদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে। এখন অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার।"

সুজন চক্রবর্তী বলেন,"আমরা মনে করি, কেন্দ্রীয় সাহায্য যত বেশি আসবে, ততই রাজ্যের মঙ্গল । আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক । বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে রাজ্যের প্রাপ্য দেওয়া হোক। বেশি পরিমাণে অর্থ সাহায্য পেলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতি হবে‌ । কিন্তু টাকা বেশি পেলাম, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছতে দিলাম না, সেটা আমরা মেনে নেব না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে টাকা পৌঁছতে হবে। টাকা লুঠ হতে দেওয়া যাবে না। টাকা যাতে লুঠ না হয়, এটাও রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেখতে হবে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details