রায়গঞ্জ, 12জুন : কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপে ভিনরাজ্যে হারিয়েছেন কাজ,তাইলকডাউনের মাঝে পরিবারের টানেই ফিরে এসেছেন গ্রামে। কিন্তু এত কাছে এসেও সংক্রমণেরভয় দেখা করতে পারছেন না পরিবারের সঙ্গে। নিজেকে কোয়ারানটিন করতে পুকুরের ধারেএকটি গাছের উপর মাচা বেঁধেই দিন কাটাচ্ছেন অজিত মণ্ডল।
উত্তরদিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের12নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের রাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অজিত মণ্ডলকর্মসূত্রে হরিয়ানায় পাড়ি দিয়েছিলেন। হরিয়ানার একটি গাড়ির কারখানায় কাজকরলেও তিনি থাকতেন দিল্লিতে। লকডাউনের মাঝেই সম্প্রতি তিনি রাজ্যে ফিরেছেন। তবেকোরোনা সংক্রমণের ভয় ঢোকেননি বাড়িতে,গ্রামের এক প্রান্তে একটি পুকুরেরধারে গাছে মাচা বেঁধে থাকছেন তিনি। রোদ ঝড় বৃষ্টি মাথায় করেই চরম কষ্টের মধ্যেদিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এই পরিযায়ী শ্রমিক।
প্রশাসনেরতরফ থেকে মেলেনি কোনও সাহায্য,যা কিছু হাতের সামনে পাচ্ছেন,তাই রান্না করে খাচ্ছেন অজিত মন্ডল।তবে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যা অজিত মণ্ডলের নিজেকে এভাবে সকলের থেকে বিচ্ছিন্নরাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং তার এই দশা জানার পর সহযোগিতার আশ্বাসদিয়েছেনগাছের উপরে মাচা বেঁধে থাকার থেকেও কষ্টকর হয়ে উঠেছে পরিবারের সঙ্গে দেখানা করতে পারার দুঃখ।
কান্নাভেজা গলায় অজিত মণ্ডল জানান,এখানে থাকতে যতটা কষ্ট হচ্ছে,তার চেয়ে বেশি মনোকষ্ট তাঁর এতদূরথেকে বাড়ির কাছে ফিরে এসেও পরিবারের লোকেদের সাথে দেখা করতে না পারার। তবে পরিবারও গ্রামবাসীদের স্বার্থেই এই14দিন গাছের উপরেই কাটাবেন বলে স্থির করেছেন।
অজিতমণ্ডলের এভাবে গাছের উপরে কোয়ারানটিনে থাকার খবর জানতে পেরে12নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের স্থানীয়পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা সরকার জানান,পঞ্চায়েত থেকে যতটুকু সাহায্য করা যায়,তা তিনি করবেন। অজিতের স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়েও কথা বলবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে।