দেগঙ্গা, 1জুলাই : লুঠে বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধদম্পতি ।75বছরেরঅনাদিপ্রসাদ চক্রবর্তী এবং65বছরের কৃষ্ণা চক্রবর্তী দেগঙ্গার কলসুর এলাকার । দুষ্কৃতীঅনাদিবাবুর হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে । তাঁকে বাঁচাতে এলে মারধর করা হয়কৃষ্ণা দেবীকেও । এমনকী তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ । শেষেবৃদ্ধ দম্পতির চিৎকারে পালিয়ে যায় সে । দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,কলসুরে বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেনঅনাদিবাবু । বিবাহিত ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকেন । তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্তকর্মচারী । মঙ্গলবার মাঝরাতে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে হানা দেয় পরিচিত এক দুষ্কৃতী। ঘরের আলমারির শোকেস ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় অনাদিবাবুর । এরপর বাধা দিতেএগিয়ে আসেন তিনি ।
লুঠে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধের হাতে কোপ
লুঠে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে আক্রমণের অভিযোগ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে । অভিযোগ, বৃদ্ধের হাতে কোপ মারে ওই দুষ্কৃতী । বৃদ্ধাকে মারধর করে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে ।
লুঠেবাধা পেয়ে আচমকাই সেই দুষ্কৃতী অনাদিবাবুর হাতে কোপ মারে । স্বামীর চিৎকারে ছুটেআসেন বৃদ্ধা কৃষ্ণা দেবী । দুষ্কৃতীকে বাধা দিতেই মারধর শুরু হয় তাঁর উপর ।
রক্তাক্ত অনাদিবাবুকেবিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে প্রাথমিকচিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে ।
এইবিষয়ে অনাদিপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, "ওই দুষ্কৃতীকে চিনে ফেলাতেই হামলাচালানো হয় । সে আগেও একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল । পুলিশ কয়েকবার তাকেগ্রেপ্তারও করেছিল ।”দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনাদিবাবু । অভিযোগ পেয়ে ঘটনারতদন্তে নামে পুলিশ । এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দুষ্কৃতীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুহয় । পরে তাকে গ্রেপ্তার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ।