দেগঙ্গা, 10 সেপ্টেম্বর : সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে গেছিল পরিবার । আর তাতেই মৃত্যু হল সাপে কাটা সেই রোগীর। ফের কুসংস্কারের বলি হলেন বছর পঞ্চান্নের এক ব্যক্তি । মৃতের নাম মদন পাত্র । উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার ভাসিলিয়া গ্রামের ঘটনা । ঘটনার পর অবশ্য রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে পরিবারের লোকেরা ।
মদন পাত্র । পেশায় দিনমজুর । মঙ্গলবার রাতে বাড়ির বারান্দাতেই শুয়েছিলেন তিনি । পাশে স্ত্রীও ছিলেন । তখনও ঘুমটা ঠিক ঠাক আসেনি মদনবাবুর । আশেপাশে অন্ধকার । হঠাৎ পায়ে তীব্র একটা জ্বালা । বুঝতে পারেন কিছু একটা কামড়েছে । সঙ্গে সঙ্গে উঠে আলো জ্বালান । দেখেন একটি সাপ চলে যাচ্ছে সেখান থেকে । এতক্ষণে পায়ের যন্ত্রণাটা আরও তীব্র হয়েছে মদনবাবুর । কিন্তু পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে অশোক কুমার মণ্ডল নামের স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান ।
সেখানে শুইয়ে রাখা হয় মদনবাবুকে । চলে ঝাড়ফুঁক । বেশ কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক চলার পর রোগী সুস্থ হওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু সুস্থ হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা গেল না । বরং ক্রমেই শরীর যেন নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে মদনবাবুর । পরিবারের লোকেরাও বুঝতে পারেন ওঝার ঝাড়ফুঁকে কাজ হয়নি । কিন্তু তারপরেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় না তাঁকে । উলটে, দোগাছিয়া গ্রামের অন্য এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । শরীরে তখন আর জোর নেই মদনবাবুর । সেই অবস্থাতেই চলে আরও এক দফা ঝাড়ফুঁক । চলে ওঝার কেরামতি । বুধবার বিকেল পর্যন্ত এভাবেই কেটে যায় ।