কলকাতা, 28 মে : রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে মানুষকে বিপদে ফেলছে । বললেন বাম নেতারা ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সতর্ক করতে আজ ১৬ টি বামপন্থী ও সহযোগী দল মেয়ো রোডে বিক্ষোভ দেখায় । আম্বেদকরের মুর্তির সামনে সামাজিক দূরত্ব মেনে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা ।
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলাকে অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে । এমন দাবি নিয়ে পথে নেমেছে বামেরা । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, " বিপর্যয় থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে ও ত্রাণ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে । আমরা রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়কেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছি । সরকারি অনুদানে দলবাজি বন্ধ করতে হবে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে । অবিলম্বে জেলা ও ব্লক স্তরে সর্বদলীয় সভা ডাকতে হবে সরকারকে । কোরোনা ভাইরাসের পরীক্ষা দ্রুত বাড়াতে হবে । চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অ্যাম্বুলেন্স চালক, পুলিশ ও সাফাইকর্মীদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে । কোরোনা ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে । মুখে বড় বড় ভাষণ দিলে চলবে না । মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীকে পালাতে দেওয়া হবে না । সম্পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেই নির্বাচনের মাধ্যমে যেতে হবে তাঁকে । বামপন্থীরা সরকার ভাঙার বিপক্ষে । কড়ায়-গণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রীকে হিসেব দিতে হবে ৷ গত 9 বছর তিনি কী করেছেন । রাজ্যকে পিছিয়ে দেওয়ার কৈফিয়ত দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে ।"
রাজ্য ও কেন্দ্র সমঝোতা করে মানুষকে বিপদে ফেলছে, অভিযোগ বামেদের
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলাকে অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে । এই দাবি নিয়ে পথে নেমেছে বামেরা । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, বিপর্যয় থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে ও ত্রাণ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে ।
CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, " অর্ডিন্যান্স জারি করে কাজের সময় 8 ঘণ্টা থেকে বৃদ্ধি করে 12 ঘণ্টা করা চলবে না । মুখ্যমন্ত্রীকে বলব অবিলম্বে প্রতিবাদ জানাতে । লকডাউন চলাকালীন শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি দিতে হবে । কৃষকদের বকেয়া ঋণ মকুব করতে হবে । গরিব মানুষকে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে । "
CPI রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে । পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নগদ অর্থ সাহায্য করা প্রয়োজন । এখনও বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে । পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সময় ও অধিকারের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসম্মত বিশেষ বিধান চালু করতে হবে । আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে থেকে ও কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে বাঁচাতে পাশে আছি । "