কৃষি দপ্তরের খামার থেকে PPE পরে বের করতে হল ধানবীজ - PPE kit
কোয়ারানটিন সেন্টারের পাশেই কৃষি খামারের গুদামে ধান বীজ মজুত করা ছিল। কৃষি দপ্তরের খামারের মধ্যেই কোয়ারানটিন সেন্টার হওয়ার কারণে দপ্তরের কাজ ঠিকমত হচ্ছিল না। কারণ কৃষকের জন্য বরাদ্দ ধানের বীজ খামারের গোডাউনে মজুত ছিল।
জলপাইগুড়ি, 11 জুন : কৃষকদের জন্য ধানবীজ বের করতে পড়তে হল PPE । কৃষি দপ্তরের কার্যালয়ের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার। আর সেই আতঙ্কে কেউ আর বীজ ধান বের করার সাহস দেখাচ্ছিলেন না। তাই অগত্যা শ্রমিকদের PPE কিট পরিয়ে বীজ ধান বের করতে হল কৃষি দপ্তরকে ।
জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা কৃষি দপ্তরের কোয়ারানটিন সেন্টারের পাশেই কৃষি খামারের গুদামে ধান বীজ মজুত করা ছিল। কৃষি দপ্তরের খামারের মধ্যেই কোয়ারানটিন সেন্টার হওয়ার কারণে দপ্তরের কাজ ঠিকমত হচ্ছিল না। কারণ কৃষকের জন্য বরাদ্দ ধানের বীজ খামারের গোডাউনে মজুত ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কোরোনার সংক্রমণ খবর চাউর হতেই কেউ আর সেখানে গিয়ে ধান বীজ বের করার সাহস দেখাচ্ছিল না। এরপর কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা PPE কিট কিনে নিয়ে শ্রমিকদের দেন। তারপর তারা ধান বীজ বের করেন গুদাম থেকে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকদের চাষের জন্য ধানের বীজ বিতরণ নিয়ে সমস্যায় পরেছিলেন কৃষি আধিকারিকরা।
জলপাইগুড়ি সদরের সহকারী কৃষি নির্দেশক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, "নাগরাকাটায় কৃষি দপ্তরের অফিস চত্তরেই কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে। ফলে খামারের ভেতরে রাখা ধানবীজ বের করতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা PPE কিট আনিয়ে শ্রমিকদের দিয়ে বীজ বের করিয়েছি । তা না করলে কৃষকের অনেক সমস্যা হত।"