পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / briefs

Contract Land in Kolkata : ঠিকা জমিতে নিয়ম মেনে আবেদনের একমাসের মধ্যেই মিলবে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন - Firhad Hakim on Kolkata Contract Land

শুক্রবার কলকাতা পৌরনিগমের ময়দান তাঁবুতে হয় মেয়র পারিষদের বৈঠক । সেখানে মেয়র জানান, এবার থেকে নিয়ম মেনে ঠিকা জমিতে আবেদনের করার একমাসের মধ্যেই মিলবে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন (Contract Land Construction in Kolkata) ।

KMC Rules on Building Constructions
বহুতল নির্মাণের অনুমোদনে কেএমসির নয়া নির্দেশিকা

By

Published : Jan 21, 2022, 8:41 PM IST

কলকাতা, 21 জানুয়ারি : ঠিকা জমিতে একমাসের মধ্যে বহুতল নির্মাণের অনুমতি পাবেন ঠিকা প্রজারা । নিয়ম মেনে ভাড়াটিয়াদের অনুমতি ও তথ্য-সহ কলকাতা পৌরনিগমের ঠিকা সেলে আবেদন করতে হবে । দোতলা পর্যন্ত নয়, এখন পৌর আইনের মতোই আরও বেশি তল নির্মাণ করতে পারবেন তাঁরা । মিলবে ব্যাঙ্কের ঋণও । শুক্রবার কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ বৈঠক শেষে ঠিকা আইনের এমন অনেক সরলীকরণ করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim on Kolkata Contract Land)।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিন প্রথম কলকাতা পৌরভবনের বাইরে মেয়র পারিষদ বৈঠক হল পৌরসভার ময়দান তাঁবুতে । বৈঠক শেষে মেয়র বলেন, “আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঠিকা প্রজারা কলকাতা পৌরসভার বিল্ডিং রুল অনুসারেই এবার থেকে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন । এতদিন ঠিকা আইনে দোতলা পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ করতে পারতেন । কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সীমা তুলে দেওয়া হল এখন থেকে । এখন থেকে ঠিকা প্রজাদের একটি করে ফর্ম দেওয়া হবে । তবে সেই ঠিকা প্রজাকে তাঁর অধীনস্থ ভাড়াটিয়াদের অনুমতি নিতে হবে এবং সেই সব ভাড়াটিয়াদের প্রত্যেককে ওই বাড়ি তৈরি করলে তাঁদের জায়গা দিতে হবে ।”

মেয়র জানান, কলকাতায় বিপুল জমি এই মুহূর্তে ঠিকা জমি । কলকাতা পৌরসভা এলাকায় ঠিকা জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য 1 লক্ষের বেশি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে ঠিকা কন্ট্রোলারের কাছে । শুক্রবার কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সেই আবেদনপত্রগুলি কলকাতা পৌরসভার নিজের হাতে নিল । কলকাতা পৌরসভার কাছে ঠিকা প্রজারা এবার থেকে আবেদন জমা করলে পৌরসভা থেকেই তাঁদের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করার যাবতীয় প্রক্রিয়া করে দেওয়া হবে ।

এছাড়াও ফিরহাদ এদিন বলেন, “কলকাতা পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ে পেপারলেস ওয়ার্ক অর্থাৎ কাগজপত্র ছাড়া কাজ করা হবে । এবার থেকে ই-ফাইল মারফৎ কাজ হবে । আর কাগজপত্রের ফাইল নয়, এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ফাইল পৌঁছবে এক ক্লিকেই । কতদিন ফাইল পড়ে থাকছে তা জানতে তৈরি হয়েছে ফাইল ট্র্যাকার । পৌরসভার কাজকর্মে দ্রুত গতি ও স্বচ্ছতার পাশাপাশি করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজের সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা । প্রধান কার্যালয়ের সমস্ত বিভাগেই ই-ফাইল চালু হয়েছে । ভবিষ্যতে সমস্ত বরো ও ওয়ার্ড অফিস ই-ফাইলের আওতায় আনবে পৌরসভা ।”

আরও পড়ুন :সিসির জন্য অপেক্ষা নয়, সেলফ অ্যাসেসমেন্ট করে সম্পত্তিকর দিতে পারবেন ফ্ল্যাট মালিকরা

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details