কলকাতা , 11জুন : কোরোনা ভাইরাসেরকারনে বন্ধ খেলাধূলা। ফের কবে শুরু হবে তা জানা নেই কারও । এই ঘরবন্দী অবস্থায়নিজেকে দিগভ্রান্ত মনে হচ্ছিল দীনেশ কার্তিকের।কলকাতা নাইটরাইডার্সের অধিনায়ক ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন।সেখানেই তিনি বর্তমান অবস্থায় তার মানসিক অবস্থার কথা বলেছেন। 25মার্চ থেকে ঘরবন্দী দেশ। ক্রিকেটাররা সকলেই ঘরবন্দী ।
"লকডাউনের প্রথম দিকে আমি ট্রেনিং করে খুশি ছিলাম।পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছি। কিন্তু লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিজেকেদিগভ্রান্ত মনে হয়েছিল,"বলছিলেন নাইটদের নেতা। একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন,"আমার পরবর্তী ক্রিকেট কবে জানি না । কিসের জন্য তৈরি হব সেটাও জানা নেই।সত্যিই সময়টা বিরক্তিকর।"
35বছরের নাইট অধিনায়কের স্ত্রী দীপিকা পাল্লিকাল একজনআর্ন্তজাতিক স্কোয়াস খেলোয়াড়। এই অবস্থায় তিনিও ঘরবন্দী । দীনেশ কার্তিক তারস্ত্রীকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
"আমি স্ত্রীকে দেখে শিখেছি। ব্যক্তিগত খেলায় নিজেকেউদ্বুদ্ধ করতে হয়। সে জানে না পরবর্তী টুর্নামেন্ট কবে। আমি মনে করি স্কোয়াসের আগেক্রিকেট শুরু হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার স্ত্রী পরিশ্রম করে চলেছে,"বলছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার।
ICCর নতুন নিয়মে বোলাররা বলে থুতু লাগাতে পারবেন না ।কোরোনা ভাইরাসের সচেতনতার জন্য এই সাবধানতা। কার্তিক বলছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেনা হলেও পাঁচদিনের ক্রিকেটে এই নিয়ম বোলারদের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।"টি টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে এই নিয়ম বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না।টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম কুড়ি তিরিশ ওভারের পরেই বল পুরানো হতে থাকে। কিন্তু থুতুরব্যবহার না করে সুইং করানোর বিষয়টি বোলারদের কাছে সত্যিই শক্ত চ্যালেঞ্জ,"বলেছেন নাইট ক্যাপ্টেন। মাঠে ফিরে ছন্দেফিরতে ক্রিকেটারদের চার সপ্তাহ সময় দিতে হবে। একজন বোলারের পক্ষে লম্বা সময়বিশ্রামের পরে 140কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করা সহজ হবে না বলে মনেকরেন দীনেশ কার্তিক। অধিনায়ক হিসেবেIPLট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখেন।এবার তা সম্ভব হলে কোরোনা আক্রান্ত এবং আমফান ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষকে উৎসর্গকরার কথা জানিয়েছেন দীনেশ কার্তিক ।
চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলার মানুষকে ট্রফি উৎসর্গ করতে চান কার্তিক
35 বছরের নাইট অধিনায়কের স্ত্রী দীপিকা পাল্লিকাল একজন আন্তর্জাতিক স্কোয়াস খেলোয়াড়। এই অবস্থায় তিনিও ঘরবন্দী । দীনেশ কার্তিক তার স্ত্রীকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
Dinesh kartik
চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলার মানুষকে ট্রফি উৎসর্গকরতে চান কার্তিক