কলকাতা, 22 মে: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ভরতি নীতি নিয়ে তৈরি জট কাটল । সূত্রের খবর, গতকাল অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও স্কুলের শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। আর্টস ফ্যাকাল্টির বাকি বিভাগগুলি আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তাই কলা বিভাগে ভরতির জট কাটল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়েছিল । সেই বৈঠকে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের সিদ্ধান্ত ছিল শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি নেওয়া হবে । তবে গতকালের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা ।
গতবছর আর্টস ফ্যাকাল্টির ছয়টি বিভাগে ভরতির পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা শুরু হয় । ভরতির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও প্রথমে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারপরে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলন ও অনশন শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে ওই ছয়টি বিভাগে ভরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠে । অভিযোগের তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ।
এবছর ভরতির নিয়মনীতি ঠিক করার জন্য এপ্রিলে আর্টস ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে অন্য বিভাগগুলি গতবছরের নিয়ম মেনে ভরতির সিদ্ধান্তে মত দিলেও ভিন্ন অবস্থান নেয় ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ। শুধুমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই তারা ভরতির পক্ষে মত দেয় । এরপর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন এবং ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলেন। তারপর গতকালের বৈঠকে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে ওই দুই বিভাগ । অ্যাডমিশন কমিটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য দুটি বিভাগই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে । ২৮ মে এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।