কলকাতা, 6 জুলাই : তড়িঘড়ি কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে হিতে বিপরীত হতে পারে । উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র । দীর্ঘ গবেষণার ফলও কখনও কখনও বিফলে যায়, সেখানে সময় নিয়ে গবেষণা না করে প্রতিষেধক দ্রুত মানব শরীরে প্রবেশ করালে তা কেন্দ্রীয় সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত হবে বলেই মনে করছেন তিনি। সরকার মানুষকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বলেও তাঁর অভিযোগ ।
“আত্মনির্ভরতা না কি আত্মপ্রবঞ্চনা” ? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই প্রশ্ন করেছেন সূর্যকান্তবাবুুু । বলেন, "চিনা মোবাইল অ্যাপ বন্ধ করে দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভেবেছিলেন প্রচারের আলোয় থাকবেন । তা হয়নি । ফের প্রচারের জন্য কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন । মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কে দিয়েছে তাঁকে ? তিনি যদি মনে করে থাকেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের ঘোষণা করবেন তাহলে তা মানব জাতির পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘোষণা করবেন । অবিলম্বে তাই নির্ভরযোগ্য গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে । প্রধানমন্ত্রীর এই মানসিকতা প্রমাণ করে তিনি বিজ্ঞানমনস্ক নন । পাঁজি নির্ভর প্রধানমন্ত্রী ।"
"আত্মনির্ভরতা না আত্মপ্রবঞ্চনা ?", কোরোনা প্রতিষেধক নিয়ে প্রশ্ন সূর্যকান্তর
15 অগাস্টের মধ্যে কোরোনার প্রতিষেধক বাজারে আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার । কিন্তু সময় নিয়ে গবেষণা না করে প্রতিষেধক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
Covid 19, covaccine
15 অগাস্টের মধ্যে কোরোনার প্রতিষেধক বাজারে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ICMR । গত সপ্তাহের শুরুতে ICMR-এর ডিরেক্টর জেনেরাল বলরাম ভার্গব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ‘‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার পর 15 অগাস্টের মধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রতিষেধকটি বাজারে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ৷" এর পর থেকেই বিরোধীদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে ।