লিভারপুল, 8 মে : অধিনায়ককে মাঠে ফেলে বিমানবন্দরে চলে গেল বার্সেলোনার বাস। সত্য়িই ভুলে যাওয়ার মত 90 মিনিট কাটিয়েছে কাতালানরা। 3-0 গোলের লিড থেকে 3-4 গোলে হেরে যাওয়া, প্রত্যেক বার্সা ভক্তরা ভুলে যেতে চাইছেন এই ম্যাচটাকে। তাই বলে অধিনায়ককে ফেলে চলে যাওয়া একদমই শিশুসুলভ মানসিকতার পরিচয়।
চলতি UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একটা অঘটনের সন্ধ্যা উপহার পেয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। 2 মে ঘরের মাঠে অলরেডদের 3-0 গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল মেসিরা। এরপর চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কাতালানদের একপ্রকার তুলেই দিয়েছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ফুটবল দেবতা আড়ালে সেদিন হেসেছিলেন, তার প্রমাণ অ্যানফিল্ডের এই অবিস্মরণীয় ম্যাচ।
দলের সেরা তারকা মহম্মদ সালাহকে বাইরে রেখেই কাতালানদের আটকানোর ছক কষেছিলেন রেড শিবিরের কোচ য়ুর্গেন ক্লপ। তার সেই পরিকল্পনা সফল। প্রথমার্ধের থেকে দ্বিতীয়ার্ধে বেশী ভয়ঙ্কর দেখাল লিভারপুলকে। ম্যাচের 54 ও 56 মিনিটে জর্জিনিওর পর পর দুটি গোলের পর কাতালানরা মুষরে পড়ে।
একা কুম্ভ হয়ে কাতালান সেনাপতি লড়লেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে সহযোগিতায় কাউকে পেলেন না। তাই কাতালানদের বিপর্যয়টাও আটকানো গেল না। ম্যাচ শেষে জার্সিতে মুখ ঢেকে মাঠ ছাড়েন বার্সা অধিনায়ক। লা-লিগা জয় নিশ্চিত করার পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ব্যবধানটা বাড়াতে চেয়েছিলেন। তা এবার আর হল না।
মেসির বেদনা বাড়াল তার নিজের দল। ম্যাচ শেষে মূহ্যমান কাতালান সেনাপতিকে মাঠে রেখেই টিম বাস চলে যায় বিমান বন্দরে। দলের সবাই এই অনভিপ্রেত পরাজয়ে শোকস্তব্ধ। মাঠে তখন বিজয় উৎসবে মেতেছে লিভারপুল। সেই উল্লাস কাঁটার মত বিঁধছিল কাতালান শিবিরে। তাই তড়িঘড়ি মাঠ ছা়ড়ার সিদ্ধান্ত নেন বার্সা কর্তারা। তাতেই ঘটে বিপত্তি। পরে অবশ্য কুশলেই স্পেনের পথে পাড়ি দিয়েছেন মেসি।