পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 28, 2019, 11:52 AM IST

Updated : May 28, 2019, 12:40 PM IST

ETV Bharat / briefs

"সরকারি পদে থেকেও ভোটে প্রভাব ফেলতে পারিনি", ইস্তফা মৌসমের নির্বাচনী এজেন্টের

মৌসম নুরের নির্বাচনী এজেন্ট অম্লান ভাদুড়ি একাধিক সরকারি পদেও আসীন ছিলেন । তিনি সেই সমস্ত পদ থেকে গতকাল ইস্তফা দিয়েছেন । দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পারায় তাঁর এই সিদ্ধান্ত ।

অম্লান ভাদুড়ি

মালদা, 28 মে : উত্তর মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী মৌসম নুরের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন অম্লান ভাদুড়ি । কিন্তু জেতাতে পারেননি মৌসমকে । এদিকে তিনি একাধিক সরকারি পদেও আসীন ছিলেন । দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পারার মনস্তাপে গতকাল সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি । নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তিনি মালদা জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে দিয়েছেন ।

অম্লানবাবু জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির পাশাপাশি ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর । তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য । এর সঙ্গে মালদা জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন ছিলেন তিনি । চাঁচল মহকুমা আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার পদেও নিযুক্ত ছিলেন । তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে মৌসম নুরের নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ায় তিনি সহকারী সরকারি আইনজীবী পদ থেকে পদত্যাগ করেন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

ETV ভারতকে অম্লানবাবু বলেন, "বর্তমানে আমি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইংরেজবাজার পৌরসভার অন্যতম চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলাম । মালদার দুই কেন্দ্রের ভোটের ফলে আমি ভীষণ মর্মাহত । এসব সরকারি পদে থেকেও আমি ভোটে কোনও প্রভাব ফেলতে পারিনি । দলের ভোট বাড়াতে পারিনি । উত্তর মালদা কেন্দ্রে আমি দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টও ছিলাম । ভোটে হারের দায়ভার আমার উপরেই পড়ে । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আর কোনও সরকারি পদে থাকব না । আমি পুরো সময়টা দলীয় সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করব । এইসব কারণেই আমি আজ সমস্ত সরকারি পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিয়েছি । আমার মনে হয়, দলের সিনিয়র নেতৃত্বকে এসব পদে বসালে দলের ভালো হবে ।"

অম্লানবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, সাধারণ মানুষের জন্য তাঁকে সরকারি বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছিল । কিন্তু ভোটে দলের হারে তিনি সেই সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করায় কি সরকারে ফের দলতন্ত্রের প্রশ্ন সামনে এল ? তাঁর জবাব, "মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন হয়েছে । মানুষের উচিত ছিল তৃণমূলকে আরও বেশি ভোট দেওয়া । সেটা তারা করেনি । মানুষের উন্নয়ন করে দল । আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দলই সরকার তৈরি করে । দলের নির্দেশে সরকার চলে । দলের নির্দেশে সরকার মানুষের কাজ করে । এটাই সিস্টেম । এর বাইরে কিছু নেই ।" অম্লানবাবু আরও বলেন, "এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে আমার উপর কোনও চাপ ছিল না । আসলে মানসিকভাবে সায় দিচ্ছিল না । আমার সিদ্ধান্তের কথা এই জেলার দলীয় অবজ়ারভারকে আমি জানিয়ে দিয়েছি । আমি নিশ্চিত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দলের ফল ভালো করব ।"

Last Updated : May 28, 2019, 12:40 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details