দুর্গাপুর ,26 মে : গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত কাঁকসার মলানদিঘিতে কোরোনা হাসপাতালে ভরতি হওয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার 10 জন কোরোনা আক্রান্তদের মধ্যে 9 জন ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক ও একটি 9 মাসের শিশু। গত দু'দিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সর্বাধিক কোরোনা আক্রান্ত রোগী ভরতি হল COVID-19 হাসপাতালে।
দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘিতে ""শ্রী রামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এন্ড সনকা হাসপাতাল" পশ্চিম বর্ধমান জেলাসহ আশপাশের বাঁকুড়া ,বীরভূম ,পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম কোরোনা হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয় । এখনো পর্যন্ত এই হাসপাতাল কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবং তাদেরকে সুস্থ করে তোলার নিরিখে 100% সফল ।
গত 2দিনে পশ্চিম বর্ধমানে কোরোনা আক্রান্ত 10 জনের 9 জন পরিযায়ী শ্রমিক - পশ্চিম বর্ধমান দুর্গাপুর
গত সোমবার ও আজ এই হাসপাতালে মোট 17 জন কোরোনা আক্রান্ত রোগী ভরতি হন। এই 17 জনের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোরোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 10 জন ।তাদের মধ্যে একটি নয় মাসের শিশুও রয়েছে।
এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন কোরোনা আক্রান্ত রোগী এখনও পর্যন্ত মারা যায়নি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা ছাড়াও আরো বিভিন্ন জেলার এই মুহূর্তে 36 জন কোরোনা আক্রান্ত রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত সোমবার ও আজ এই হাসপাতালে মোট 17 জন কোরোনা আক্রান্ত রোগী ভরতি হন। এই 17 জনের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোরোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 10 জন ।তাদের মধ্যে একটি নয় মাসের শিশুও রয়েছে। যার বাড়ি দুর্গাপুরে নিউটাউনশিপ থানা এলাকার জেমুয়া গ্রামে ।পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাকি যে ন'জন কোরোনা আক্রান্ত রোগী তারা সবাই ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন,"গত দুদিনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার যে দশজন কোরোনাতে আক্রান্ত হয়ে কোরোনা হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন । তাদের মধ্যে 9 জন ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক।"