পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jun 29, 2020, 5:06 AM IST

ETV Bharat / briefs

ক্রাইম কনফারেন্সে নগরপালের ধমক, পুলিশ সেজে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেপ্তার 3

মার্চ মাসে জোড়াবাগানে পুলিশ সেজে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনাকে চুরির মামলা হিসেবে দায়ের করায় ধমক দিয়েছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা। এই মামলার দায়িত্ব তিনি গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেন। অবশেষে গতকাল রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Kolkata police
Kolkata police

কলকাতা, 28জুন: মার্চ মাসে পুলিশ সেজে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডাকাতিরঘটনাকে চুরির মামলা হিসেবে দায়ের করেছিল জোড়াবাগান থানার পুলিশ। বিষয়টিনগরপালের নজরে পড়তেই জোড়াবাগান থানাকে ধমক দিয়ে তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগেরহাতে তুলে দিয়েছিলেন অনুজ শর্মা। অবশেষে গতকাল রাতে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেগ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের ডাকাতি দমন শাখা।

প্রতিমাসেই অপরাধের খতিয়ান নিয়ে ক্রাইম কনফারেন্সে বসেন নগরপাল।তথ্য,পরিসংখ্যান এবং বিভিন্ন মামলার চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয় সেই বৈঠকে। জানা গিয়েছে,শেষ ক্রাইম কনফারেন্সে জোড়াবাগান থানার38/2020কেসের কিনারা হয়নিদেখে থানার অফিসারদের মৃদু ধমক দেন অনুজ শর্মা । নর্থ ডিভিশনের কাছে তিনি কেসেরবিস্তারিত তথ্য জানতে চান । সেখানেই জানা যায়,গত মার্চ মাসে জোড়াবাগান এলাকার একস্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পুলিশ সেজে গাড়িতে তোলে কয়েকজন। তাদের ধারণা ছিল,ওই ব্যবসায়ীর কাছে প্রচুর সোনা থাকবে,কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর কাছে কিছুই নাথাকায়,তাঁর শরীরে থাকা আংটি,সোনার চেন এবং যাবতীয় টাকা পয়সাকেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জোড়াবাগান থানা একটি সামান্য চুরির মামলাদায়ের করে। ঘটনার কিনারা করা নিয়েও বিশেষ তাগিদ দেখাননি তারা। তবে ঘটনার গভীরতাবুঝতে পেরে নগরপাল জোড়াবাগান থানার কর্তাদের কাছে জানতে চান,এটি চুরির ঘটনা হয় কি করে?এর পরেই যোগ করা হয় ডাকাতির ধারা।গতরাতে কলকাতা পুলিশের তরফে অভিযান চালানো হয় । অপহরণ ও ডাকাতির অভিযোগেগ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জন দাস,সঞ্জু দাসএবং সুখপদ মন্ডলকে। রঞ্জন ও সঞ্জু দাসলেকটাউনের বাসিন্দা,সুখপদ মন্ডল চিতপুরের বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ধৃতরা অপরাধের কথা স্বীকার করেনিয়েছে।

শহরে অপরাধ কমাতে ক্রাইম কনফারেন্সেরগুরুত্ব অপরিসীম। মাস কয়েক আগে শহরে চুরি কমাতে নগরপাল এক অভিনব উপায় খুঁজে বেরকরেছিলেন। তিনি নির্দেশ দেন,চুরি হওয়া জিনিস পত্র যারা কেনে,তাদের গ্রেপ্তার করতে। তার যুক্তি ছিল,চোরেরা চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করতেনা পারলে সমস্যায় পড়বে। এই পদক্ষেপের পরই শহরে ক্রমশ কমতে থাকে চুরির হার।

ABOUT THE AUTHOR

...view details