প্রয়াগরাজ, 10 জুন: দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখেছিল আফতাব ৷ মুম্বইয়ে লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ করে মনোজ ৷ এরপর এবার প্রয়াগরাজে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয়, তাঁকে হত্যা করার মাত্র চারদিন পর অন্য মেয়েকে বিয়েও করে নিয়েছে অভিযুক্ত। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কাছে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে খুঁজতেও বের হয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, তাদের সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার ওই যুবককে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তারপর মেয়েটিকে খুনের কথা জানায় সে। পরে অভিযুক্তের কথামতো পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার করে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
প্রয়াগরাজের করছনা থানা এলাকার বাসিন্দা রাজকেশর চৌধুরি ৷ সাত বছর আগে আশিস ওরফে অরবিন্দ কুমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার । তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায় এবং তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন । সাত বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল । তবে ব্যঘাত ঘটে যখন আশিসের পরিবার অন্যত্র তাঁর বিয়ে ঠিক করেন । আশিসের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল 28 মে । এ খবর জানতে পেরে যান রাজকেশর ৷ তিনি এই বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করেন । আর সে জন্যই 24 মে আশিস তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং একটি সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে রাখে বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন:লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে কুকারে সেদ্ধ, হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল মায়ানগরী
দেহটি নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়: আশিস লিভ-ইন পার্টনার রাজকেশরকে 24 মে তারই একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ডেকেছিলেন। যেখানে তিনি সঙ্গিনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে দেন বলে অভিযোগ । তারপর সেপটিক ট্যাংকে মৃতদেহের উপর বালি ও মাটি দিয়ে দেন । পরের দিন শ্রমিকদের ডেকে সেপটিক ট্যাংকে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় । যার কারণে কেউ জানতে পারেনি সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে থাকা দেহের কথা ।