মধুবনী, 14 নভেম্বর : ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় মিলল সাংবাদিকের মৃতদেহ ৷ পুড়ে যাওয়া দেহটি পাওয়া গিয়েছে বিহারের মধুবনীর বেনিপট্টি-বসৈঠা জাতীয় সড়কের (Benipatti-Basaitha NH 52) ধারে ৷ অভিযোগর তির স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালগুলির দিকে ৷ বেনিপট্টির এসডিপিও জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ খুব শিগগিরি দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে ৷
মৃত বুদ্ধিনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ বেনিপট্টি মুখ্যালয়ের সাংবাদিক ছিলেন ৷ 9 নভেম্বর রাতে তাঁর ফোটোথেরাপি ক্লিনিক থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক ৷ পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজখবর করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাননি ৷ এরপর 11 নভেম্বর তাঁর দাদা চন্দ্রশেখর ঝা অবিনাশকে অপহরণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন বেনিপট্টি থানায় ৷ এফআইআর-এ তাঁর দাদা জানান, স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের দিয়ে ভাই অবিনাশকে তুলে নিয়ে গিয়েছে ৷ তিনি বেনিপট্টির আম্বেদকরচকে মা জানকী সেবা সদন, মকিয়ার শিফা পলি ক্লিনিক, ধকজরির সুদামা হেলথ কেয়ার, অংশু ফাস্ট এড সেন্টার, অনুমণ্ডল মেন গেটে সোনালি হসপিটাল, বেনিপট্টির জেল গেটে আরাধনা হেলথ অ্যান্ড ডেন্টাল কেয়ার ক্লিনিক, জয় মা কালী সেবা সদন-সহ 11টি ভুয়ো বেসরকারি হাসপাতালে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকের মৃত্য়ুতে সিবিআই তদন্তের দাবি, যোগীকে চিঠি প্রিয়াঙ্কার
বুদ্ধিনাথ ওরফে অবিনাশ স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের ইউটিউব চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হিসাবে কাজ করতেন ৷ এছাড়া তিনি একজন আরটিআই সমাজকর্মীও ছিলেন ৷ বিগত বেশ কিছু বছর ধরে বেনিপট্টি বাজার সংলগ্ন ভুয়ো বেসরকারি হাসপাতালের বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছিলেন ৷ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল ৷ তাই তাঁর পরিবারের দাবি, পথের কাঁটা সরাতেই অবিনাশকে এভাবে মেরে ফেলা হয়েছে ৷
এমনকি 24 দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অবিনাশ লিখেছিলেন, "যতদিন বাঁচব, লড়ে বাঁচব ৷" তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন ভুয়ো বেসরকারি হাসপাতালগুলি তাঁকে নিশানা করেছে ৷ পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, লাশ দেখতে পেয়ে শুক্রবার 12 নভেম্বর কেউ একজন পুলিশে খবর দিয়েছিল ৷ এসডিপিও-র নির্দেশে বেনিপট্টি-সহ বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মধুবনী পাঠিয়ে দেয় ৷ পরে বুদ্ধিনাথ ঝায়ের দাদা ও মা লাশটি দেখে সেটি তাঁদের ছেলের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করেন ৷
অনুমান, 9 নভেম্বর রাতেই সাংবাদিক অবিনাশকে খুন করে কোথাও একটা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ 12 নভেম্বর তাঁর নিরুদ্দেশের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই মৃতদেহটি বস্তাবন্দি করে ঝোপের ধারে ফেলে দিয়ে আসা হয় ৷
এসএইচও (Station House Officer- SHO) অরবিন্দ কুমার আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে অনেক দূর এগিয়েছে ৷ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে জোরদার তল্লাশি চলছে ৷