নয়াদিল্লি, 1 জুলাই:শনিবার মধ্যপ্রদেশের এক জনসভা থেকে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক সূত্রে রেখে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এর পালটা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এদিন আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন এদিন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে দেশের বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷
এদিন, প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের জনসভা থেকে বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন,"যারা বর্তমানে ঝোট বাঁধতে চাইছে (বিরোধী জোট) সমাজমাধ্যমে তাদের বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে ৷ এই বিরোধী দলগুলি জোটবদ্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৷"
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন ৷ এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী এটা আপনি, যিনি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷ আপনার দল যুব সম্প্রদায়কে চাকরি দিতে অস্বীকার করছে ৷ গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে বাধা দিচ্ছে ৷ সংঘবদ্ধতার বিরোধিতা করছে ৷ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করছে ৷"
উল্লেখ্য, গত মাসের 23 তারিখ পটনায় বৈঠকে বসেছিল বিজেপি বিরোধী দেশের 17টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ৷ কংগ্রেস ছাড়াও এই বিরোধী বৈঠকের অন্যতম দল ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করায়, এর পালটা দিল তৃণমূল ৷ এই বিরোধী জোট ও বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি ৷ বিজেপিকে 2024 লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা থেকে সরাতে দেশের পরিবারকেন্দ্রিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত দলগুলি জোটবদ্ধ হচ্ছে, মূলত এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই প্রচারে নেমেছে পদ্ম শিবির ৷ শনিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে এই বিরোধী জোট গঠনের উদ্যোগের সমালোচনা করছেন ৷
আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির এটাই আদর্শ সময়, মত নকভির
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী লোকসভা ভোটে যদি দেশের বিরোধী দলগুলি এক ছাতার তলায় আসে ও বিজেপির বিরুদ্ধে সিংহভাগ আসনে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী এই ফর্মুলা কাজ করে যায়, তাহলে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে বেগ পেতে হতে পারে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের ৷ সম্ভবত সেই আশঙ্কা থেকেই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ধীরে ধীরে আরও আক্রমণাত্মক হচ্ছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ৷