পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Maharashtra Murder Case: পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার 2 মহিলা - Murder after Poisoning

একই পরিবারের সদস্যরা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পরে এই 5 জনের মৃত্যু হয় ৷ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্রের গাড়চিরৌলির পুলিশ ৷ তাতে পুলিশ বুঝতে পারে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে এই পাঁচজনকে ৷ গ্রেফতার হয়েছেন দুই মহিলা ৷

ETV Bharat
মহারাষ্ট্রে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 19, 2023, 9:55 AM IST

Updated : Oct 19, 2023, 10:49 AM IST

গাড়চিরৌলি, 19 অক্টোবর: পরিবারের পাঁচ সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় খুনের অভিযোগ উঠল দুই মহিলার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের গাড়চিরৌলিতে ৷ ওই দুই মহিলাকে খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ দু'জনের নাম সংঘমিত্রা কুম্ভারে এবং রোজা রামটেকে ৷

গাড়িচিরৌলির এসপি নীলোৎপল জানিয়েছেন, এই দুই মহিলা মিলে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করেছে ৷ পৈর্তৃক সম্পত্তি পেতেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে অন্য কারণও থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের ৷ তিনি বলেন, "গত কয়েকদিনে গাড়চিরৌলি জেলার আহেরি এলাকার মহাগাঁওতে শঙ্কর পিরু কুম্ভারে-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাত্র 20 দিনের মধ্যে 5 জনের মৃত্যু হয় ৷"

এভাবে পরপর মৃত্যু পুলিশকে ভাবায় ৷ এসপি আরও জানান, 20 সেপ্টেম্বর শঙ্কর কুম্ভারে এবং তাঁর স্ত্রী বিজয়া কুম্ভারে অসুস্থ হন ৷ তাঁদের আহেরির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে ৷ এরপর তাঁদের নাগপুরে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ তবে দুর্ভাগ্যবশত, ঠিক কী হয়েছে তা ধরা যায়নি ৷ আর তাই সঠিক চিকিৎসার অভাবে 26 সেপ্টেম্বর শঙ্কর কুম্ভারের মৃত্যু হয় ৷ পরের দিন 27 সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী বিজয়া কুম্ভারের মৃত্যু হয় ৷

এই ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে ৷ এদিকে এর মধ্যেই প্রয়াত শঙ্কর কুম্ভারের দুই মেয়ে ও এক ছেলেও অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ দুই কন্যা- কোমল দাহাগাওকর, আনন্দা, পুত্র রোশন কুম্ভারেকে আলাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এই প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বলেন, "একইভাবে তাঁদেরও শারীরিক অবস্থারও দিনে দিনে অবনতি হতে থাকে ৷ 8 অক্টোবর কোমলের মৃত্যু হয় ৷ 14 অক্টোবর আনন্দা এবং 15 অক্টোবর রোশন কুম্ভারের মৃত্যু হয় ৷"

পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের এই সদস্যরা ছাড়া আরও কয়েকজনকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল ওই দুই মহিলা ৷ এর মধ্যে শঙ্কর কুম্ভারের বড় ছেলে এবং ড্রাইভারও রয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, ওই ড্রাইভারই পরিবারের কর্তা শঙ্কর এবং তাঁর স্ত্রী বিজয়াকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ পরে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে অসুস্থ হলেও বড় ছেলে এবং ড্রাইভারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল ৷

পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে ৷ এসপির কথায়, "জরুরি ভিত্তিতে চারটি পৃথক তদন্তকারী দল তৈরি করা হয় ৷ তারা মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানার বিভিন্ন জেলায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে, খোঁজখবর চালায় ৷ এরপর বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শঙ্কর কুম্ভারের পুত্রবধূ সংঘমিত্রা কুম্ভারে এবং শঙ্করের এক শালার স্ত্রী রোজা রামটেকের এই অপরাধে সক্রিয় ভূমিকা ছিল ৷"

এরপর পুলিশ এই দুই মহিলার গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে থাকে ৷ পরে 18 অক্টোবর তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ পরবর্তীকালে তদন্তে উঠে আসে, এই দুই মহিলাই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ডালখোলায় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী এবং ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

Last Updated : Oct 19, 2023, 10:49 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details