চণ্ডীগড়, 10 মে: পশ্চিমবঙ্গ থেকে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে এসে করোনা সংক্রামিত হয়ে হরিয়ানার একটি হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন এক মহিলা ৷ যে দলের সঙ্গে তিনি দিল্লির টিকরি সীমানায় এসেছিলেন,সেই দলের দুই সদস্য তাঁকে ধর্ষণ করেছিল ৷ মারা যাওয়ার আগে এই কথা জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বাবাকে ৷ সম্প্রতি এই অভিযোগ করে এফআইআর দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা ৷
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পর একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে ৷ 10 এপ্রিল ওই মহিলা টিকরি সীমান্তে আসেন ৷ কোভিড লক্ষণ দেখা দেওয়ায় 26 এপ্রিল তাঁকে ঝজ্জরের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ আর সেখানে 30 এপ্রিল চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি ৷ বাহাদুরগড়ের পুলিশ আধিকারিক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এরপর মহিলারর বাবা দু'জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন ৷
আরো পড়ুন: দেশে বিরোধী জোট প্রয়োজন, কংগ্রেস ছাড়া তা সম্ভব নয়, জানালেন সঞ্জয় রাউত
কুমার বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একজন কোভিড রোগী হিসেবেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ আমরা চিকিৎসার সব কাগজপত্র চেয়েছি হাসপাতাল থেকে ৷ সেগুলো পেলে নিশ্চিত করে বলতে পারব তাঁর মৃত্যু কোভিড সংক্রমণের কারণেই কি না ৷"
কৃষক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) জানিয়েছে, বাংলা থেকে কৃষক আন্দোলনে আসা মহিলার এই ঘটনা দুশ্চিন্তার ৷ ওই দু'জন নিজেদের কিষাণ সোশ্যাল আর্মির সদস্য হিসেবে দাবি করছে ৷ এই ঘটনা দিল্লি আসার পথে এবং টিকরি সীমান্তে পৌঁছানোর পর হয়েছে ৷ এটা জানার পরই তারা কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ চার দিন আগেই টিকরি সীমান্তে তথাকথিত কিষাণ সোশ্যাল আর্মির সব তাঁবু, ব্যানার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷