আগ্রা, 9 জুন: প্রেমিকের সঙ্গে মিলে মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ নাবালিকার বিরুদ্ধে ৷ আগ্রার সিকান্দ্রা থানা এলাকার শাস্ত্রীপুরমের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা ও মেসেজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের স্বামী ব্যবসায়ী উদিত বাজাজ ৷ মৃতের নাম অঞ্জলি বাজাজ (40) ৷ বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইথা এলাকায় যমুনার তীরে বনখণ্ডি মহাদেব মন্দিরের কাছে জঙ্গলে মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় নাবালিকা ও তার প্রেমিকের সঙ্গে আরও এক যুবক জড়িত বলে জানা গিয়েছে ৷ অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলার গলায় ও পেটে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ উদিত বাজাজ পুলিশকে জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া প্রখর গুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মেয়ের ৷ বিষয়টি জানার পর স্ত্রী এতে আপত্তি জানান ৷ মেয়ের মোবাইল ফোনে নজরদারি শুরু করেন ৷ দু'জনের ফোনে কথা বলা বা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজিং বন্ধ করে দেন ৷ এমনকি মেয়ের সোশাল মিডিয়াতেও নজরদারি শুরু করেন ৷ এই নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কেও অবনতি হয় ৷
এরই মধ্যে বুধবার মেয়ে তাঁর স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বনখণ্ডি শিবমন্দিরে ডেকে পাঠায় ৷ মেয়ের মেসেজ পেয়ে তিনি স্বামীকে নিয়ে সেখানে যান ৷ কিন্তু, এরপরেই উদিত বাজাজকে তাঁর মেয়ে মেসেজ করে অন্যত্র ডাকে ৷ সেই মেসেজে লেখা ছিল, "গুরু কি তালের কাছে চলে এসো ৷ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি ৷ আমাকে এখান থেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে দাও ৷" মেয়ের মেসেজ পেয়ে স্ত্রীকে বনখণ্ডি শিবমন্দিরে রেখেই হাইওয়ের ধারে 'গুরু কি তালে' চলে যান উদিত ৷